দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ছোট পর্দা থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করেছেন। তার অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং সেরা অভিনেতা বিভাগে একটি মেরিল-প্রথম আলো ও দুটি সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন।
তবে এতো সফলতার পরেও তাকে নিয়ে বিতর্ক যেন জোঁকের মতো জেঁকে বসেছে । শুরুটা মূলত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে। আন্দোলনের সময় সাধারণ জনগণের পাশাপাশি তারকারও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তাদের পাশে ছিল।
তবে এ বিষয় নিয়ে চুপ থাকতে দেখা গেছে চঞ্চল চৌধুরীকে। এরপর বেশ সমালোচনা শিকার হয়েছিলেন তিনি। এবার ওপার বাংলার টেলিভিশন উপস্থাপন ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের সঙ্গে পুরোনো কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ময়ূখ তার ফেসবুক আইডিতে চঞ্চলকে ট্যাগ করে ছবি শেয়ার করেছিলেন। যেখানে ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘সাদা সাদা কালা কালা, রং জমেছে সাদা কালা হইছি আমি মন পাগলা, বসন্ত কালে তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি, বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি।
এই ছবি নিয়েই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিটিজেনদের মাঝে চলছে বেশ সমালোচনা। মিজানুর রহমান নামে একজন ছবি সেই ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী কেমন গন শত্রু দেখেন। কেমন বাংলাদেশ বিরোধী দেখেন। আর কাউকে পাবেন না বাংলাদেশে এই মালের সাথে ছবি আছে। চঞ্চল চৌধুরী একমাত্র ব্যক্তি যে এই মালের সাথেও কেমন মিন মিন মিন মিন করে ঢলাঢলি করে।
আলী হাসান লিখেছেন, ‘ধর্মতো ভাই, চঞ্চল চৌধুরী একজন দেশপ্রেমিক ভারতীয় থুক্কু বা বাংলাদেশি। পাশের জনকে চেনেন, রিপাবলিক টিভির সেই মাল। আরেকজনের ভাষ্য, ‘কলকাতার মলম বিক্রেতার সাথে ভারতীয় দালাল দেশদ্রোহী গণদুশমন চঞ্চল চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, ময়ূখ রঞ্জন ঘোষ ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল রিপাবলিক বাংলায় সিনিয়র এডিটর এবং হেড অফ ইনপুট হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি দিয়ে সংবাদ উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শকমহলের নজরে এসেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post