লেবাননে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে প্রবাসীদের দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। জীবন বাঁচাতে আড়াই হাজার প্রবাসী অবস্থান নিয়েছে দেশটির আশ্রয়কেন্দ্রে। এরই মধ্যে আহত হয়েছেন ৫ জন। তবে সবাই শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস। এদিকে, প্রবাসীদের তথ্য প্রতিনিয়ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
একটি মাত্র বিমানবন্দর, তার উপর শুধু চালু রয়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট। এর পাশাপাশি লেবাননে ইসরায়েলের উপর্যুপরি হামলা তো রয়েছেই। তাই প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে আসার আকুতি এখন পরিণত হয়েছে অনিশ্চয়তায়।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই লেবাননে চলছে ইসরায়েলের বিমান হামলা। দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযানও শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রবাসীরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় অবস্থান নিচ্ছেন। প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা কম হলেও আপাতত সেখানেই আশ্রয় নিতে হয়েছে তাদের।
আশ্রয়কেন্দ্রে আসা এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘আমাদের দেশে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশ সরকারকে আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। সরকারের কাছে একটাই দাবি যাতে আমাদের প্রবাসীদের ভালো একটা সেল্টারের ব্যবস্থা করে।
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন নারীসহ ৫ বাংলাদেশি। দুজন হাসপাতালে ভর্তি। প্রবাসীদের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রতিনিয়ত সমন্বয় করা হচ্ছে বলে জানায় বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের প্রথম সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন বলেন, আহত ৫ জনের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে আর বাকিরা বাসায় অবস্থান করছেন। তারা মোটামুটি শঙ্কামুক্ত। যারা হাসপাতালে আছেন তারাও শঙ্কামুক্ত। গ্রাউন্ডের যে পরিস্থিতি তা আমরা অবহিত করেছি। বিশেষ করে প্রবাসীদের দেশে যাওয়ার জন্য যে অনুরোধ ও আবেদন সেটিও আমরা অবহিত করেছি।
২৩ সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩০০–এরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post