“বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে,” দাবি রাষ্ট্রদূতের।
বেসরকারি নিরাপত্তা খাতে বাংলাদেশ থেকে ব্যাটালিয়ন আনসার নিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি আহ্বান রেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার বিকালে সচিবালয়ে ঢাকায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লা আলী খাসেইফি আলহামুদ তার সঙ্গে দেখা করতে এলে তিনি এই আহ্বান রাখেন।
দুই দেশের মধ্যে ঐকমত্য সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনার রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকালে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা, ই-ভিসা খাতে কারিগরি সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
আরব দেশগুলোর জোট ‘গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল‘ এর সদস্যদের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত স্বাধীন বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় বলে স্মরণ করে উপদেষ্টা বলেন, “কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। আমরা এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুধু অব্যাহত রাখাই নয়, বরং এটিকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।
বাংলাদেশি কর্মীদের অনেক বেশি দক্ষ ও পেশাদার হিসেবে ‘মূল্যায়ন’ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশিরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাংকিং, প্রকৌশল খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
“বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে,” এ দাবি-ও করেন রাষ্ট্রদূত।
দূতাবাস এলাকার নিরাপত্তা বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নিয়মিত নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেখানে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেসরকারি খাতে নিরাপত্তাকর্মীদের চাহিদার বিষয়টি জানালে উপদেষ্টা বাংলাদেশ থেকে ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়োগের অনুরোধ করেন।
উপদেষ্টা এ বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে ঐকমত্য সাপেক্ষে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে জানান।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে ই-ভিসা চালুর ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উপদেষ্টা এটিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এ বিষয়ে দ্রুত পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৈঠকে ঢাকায় ইউএই দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যানালিস্ট আলতাফ হোসেন ও দূতাবাসের জনসংযোগ কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post