পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটিতে অন্তত দুজন দেশ বরেণ্য ইসলামী স্কলারকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইমাম সমিতি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
প্রচার সম্পাদক মাওলানা হাবিবুর রহমানের সই করা বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমান বলেন, জুলাই আগস্ট স্বাধীনতার পরে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত ও মুদ্রিত সব পাঠ্যপুস্তক সংশোধন ও পরিমার্জনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেই কমিটিতে দুজন সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামরুল হাসান মামুন ও সামিনা লুৎফাকে রাখা হয়েছে। অথচ শতকরা ৯২ ভাগ মুসলিম-অধ্যুষিত দেশের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কোনো ইসলামী চিন্তাবিদ বা বিজ্ঞ আলেমকে রাখা হয়নি।
বাংলাদেশ ইমাম সমিতির সভাপতি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হাফেজ মাওলানা লুৎফর রহমান এর তীব্র সমালোচনা করেন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অন্তত দুজন দেশ বরেণ্য ইসলামী স্কলারকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় থেকেই সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে মুসলিমবিদ্বেষী ও নাস্তিক্যবাদী অনেক বিষয় ঢোকানো হয়েছে। বিভিন্ন সময় দেশের বিজ্ঞ আলেম ও ইসলামী চিন্তাবিদেরা এ বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন এবং বক্তব্য ও বিবৃতির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। কিন্তু বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেনি।
অতএব, আমরা আমাদের সন্তানদের পাঠ্যক্রম পর্যালোচনার দায়িত্ব এমন কাউকে কখনো দিতে পারি না, যারা এ দেশের মানুষের ধর্ম, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। এটা একই সঙ্গে আপত্তির ও উদ্বেগের এবং এটা আবু সাইদের মতো ধর্মপ্রাণ শহীদদের রক্তের সঙ্গে সুস্পষ্ট বিশ্বাসঘাতকতা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post