ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় মধ্যপ্রাচ্যের দুটি মানচিত্র দেখিয়েছেন। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) অধিবেশনে তার দেখানো দুটো মানচিত্রের কোথাও ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব নেই।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার ডান হাতে কালো রঙে চিত্রিত বেশ কয়েকটি দেশ দেখান। যেগুলোকে ‘অভিশপ্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই দেশগুলো হলো-ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন।
নেতানিয়াহুর বাঁ হাতে থাকা মানচিত্রে সবুজ রঙে কিছু দেশকে চিত্রিত করা হয়েছে। এই দেশগুলোকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এই মানচিত্রের দেশগুলো হলো মিশর, সৌদি আরব ও সুদান। এমনকি মানচিত্রে ভারতকেও নির্দেশ করা হয়েছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী ‘অভিশপ্ত’ ও ‘আশীর্বাদতুল্য’ যে দেশ চিহ্নিত দুটি মানচিত্র দেখিয়েছেন, তার একটিতেও ফিলিস্তিনের নাম নেই।
এর আগে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে ভাষণের জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নাম ঘোষণা করতেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকে। এসময় নেতানিয়াহুকে অনেকে হিটলার বলেও চিৎকার করেন অনেক বিশ্বনেতা। এরপর তাদেরকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান অধিবেশনের সভাপতি। এরপর নেতানিয়াহুর ভাষণ প্রত্যাখ্যান করে অনেকে ওয়াকআউট করেন।
নেতানিয়াহু তার ভাষণে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ডাক দিলেও বক্তব্যে ছিল না লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো কথা। উল্টো তেহরানকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ইরানের যেকোনো স্থানে হামলা করতে সক্ষম ইসরাইল। গাজা উপত্যকায় হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত লড়াই করার কথাও বলেন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন তিনি।
ভাষণের এক পর্যায়ে মধ্যপ্রাচ্যের দুটো মানচিত্র দেখিয়ে নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরাইল চায় ভূমধ্যসাগরের মধ্যে দিয়ে এশিয়া এবং ইউরোপকে সংযোগকারী একটি স্থল সেতু তৈরি করে রেললাইন, জ্বালানি পাইপলাইন, ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করবেন। এতে ২শ কোটি মানুষ উপকৃত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে ইরান, ইরাক ও সিরিয়ার মানচিত্র দেখিয়ে বলেন, এ দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা ভূমধ্যসাগর দিয়ে চলা একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে হাজার কোটি টাকার অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে অনেক দেশের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post