ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে সোনার খনি ধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারি বৃষ্টির ফলে ওই অঞ্চলে ভূমিধসের সৃষ্টি হয়। পরে খনিটিও ধসে পড়ে। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে।
রয়টার্সকে দেশটির এক কর্মকর্তা জানান, খনিটি থেকে অবৈধভাবে সোনা আহরণ করা হচ্ছিল। খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছান। মরদেহগুলো মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনও সাতজন নিখোঁজ। উদ্ধারকারীরা তাদের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছেন।
ছোট আকারের এবং অবৈধ খনির কারণে প্রায়ই ইন্দোনেশিয়ায় দুর্ঘটনা ঘটে। খনিজ সম্পদের খনিগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় সেখানে কর্তৃপক্ষের পক্ষে সব সময় নজরদারি করা কঠিন।
প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার প্রধান ইরওয়ান এফেন্দি বলেছেন, ভারী বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই অঞ্চলে ভূমিধস ঘটে। পর সোলোক জেলার অবৈধ সোনার খনিটি ধসে পড়ে। খবর পাওয়ার পর উদ্ধারকারীদের আট ঘণ্টা পথ পাড়ি দিয়ে ওই স্থানে পৌঁছাতে হয়েছে। সেখানকার সড়ক পথে গাড়ি চলাচল প্রায় অসম্ভব। খনিটির সঠিক অবস্থান খুঁজে পাওয়াও বেশ মুশকিল ছিল।
তিনি অনুমান করে বলেন, ঘটনার সময় খনিতে সম্ভবত ২৫ জন লোক ছিল। যাদের মধ্যে ১৫ জন মারা গেছেন। তিনজন আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সাতজন এখনও নিখোঁজ। পুলিশ ও সেনা বাহিনী শুক্রবার ভোরে নিখোঁজদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। পাশাপাশি মরদেহ সরিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয়।
প্রসঙ্গত, সপ্তাহে ইরানে একটি কয়লাখনিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে ৫১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে উপজাতিদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন। বিতর্কিত একটি সোনার খনিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিগুলোর মধ্যকার সংঘর্ষে এ প্রাণহানি হয়েছে। দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, একটি বিতর্কিত সোনার খনিকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী উপজাতিদের মধ্যে ধারাবাহিক গোলাগুলি হয়েছে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post