ওমানে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে মহামারী করোনা। দিন দিন আক্রান্ত এবং মৃতের নতুন রেকর্ড গড়ছে। দেশটিতে আজ নতুন মৃতের সংখ্যা ১১ জন। যা গত ৭ মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে আজ। বুধবার (২৪-মার্চ) ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে দেশটিতে আজ নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪১ জন এবং মৃত ১১ জন। আইসিউতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১১৬ জন।
এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ১০৫ জন এবং মোট সুস্থের সংখ্যা ১ লাখ ৪০ হাজার ২২০ জন। নতুন ১১ জনের মৃত সহ মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৬৪৪ জন। আজ নতুন সুস্থের সংখ্যা ৩৭৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬৮ জন। এখন পর্যন্ত দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন ৩৭৩ জন। মহামারী করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কোনো ধরণের গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে দ্রুত ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সরকার।
সেইসাথে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে ওমান সরকারের সকল নির্দেশনা মেনে চলতে নাগরিক এবং প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছে ওমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। অন্যথায় আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে ওমান সুপ্রিম কমিটি।
ওমানে ফের লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মহামারী করোনার সংক্রমণ। এতে আক্রান্ত হয়ে দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে আশংকাজনকহারে।
ওমান টিভির এক সাক্ষাৎকারে খোলা হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডাঃ আদেল বিন সুলাইমান আল খরাসী বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে আইসিইউতে করোনা রোগীর সংখ্যা একই সাথে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে করোনা সংক্রমিত হওয়া রোগীর সংখ্যা। এক মাসের ব্যবধানে করোনা সংক্রমিত রোগী ভর্তির সংখ্যা ১৭১ থেকে ৩৭৩ জনে পৌঁছেছে। অন্যদিকে আইসিইউতে বেড়েছে ৭৬ শতাংশ রোগীর সংখ্যা।”
খোলা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স আয়েশা বিনতে খামিস আল-আরজিহ বলেন, “ওমানের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ার কারণে আমরা ঝুঁকিতে রয়েছি। একই সাথে আমরা মানসিক ও শারীরিক কিছুটা ঝুঁকিতে রয়েছি। যে কারণে আমারা আমাদের পরিবারের সাথেও যোগাযোগ করতে ভয় পাচ্ছি।”
খোলা হাসপাতালের আরেক সিনিয়র নার্স সুলেমান বিন মুহাম্মদ আল-খরাসী বলেন, ‘দেশে করোনার বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। আমরা আশা করি সবাই সতর্কতা এবং সাবধানতা অবলম্বন করবে।”
এদিকে ওমানে আরো বেশি নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে পারলে দেশটির হাসপাতাল গুলোতে করোনা রোগীর সংখ্যা কমবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ডাঃ সালেম আল তামিমি। ওমান টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আল তামিমি আরও বলেন, ‘‘টিকাদান অনিবার্য।
যে দেশগুলি তাদের জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ ভ্যাকসিন দিয়েছে তারা এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভালো ফলাফল পেয়েছে। তাই আমাদের উচিত দেশে আরো বেশি নাগরিকদের করোনা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসা। তাহলে আশা করা যায় ওমানের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post