ভারত তার প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের রাজনৈতিক পদক্ষেপকে নিয়ন্ত্রণ করে না বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি বলেন, এমন নয় যে, ভারত প্রতিটি প্রতিবেশীর প্রতিটি রাজনৈতিক পদক্ষেপকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। এভাবে কাজ হয় না।
নিউইয়র্কে এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটে আলোচনা শেষে প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক সহনশীলতার প্রতি আস্থা ব্যক্ত করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, প্রতিবেশীদের প্রতি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা এবং মার্কসবাদী নেত্রী অনূঢ়া কুমারা দিসানায়েককে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করাসহ নেতৃত্বের পরিবর্তন প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে কিনা এমন উদ্বেগের জবাব দেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর জোর দিয়ে বলেন, প্রতিটি দেশের রাজনৈতিক গতিশীলতা স্বাধীনভাবে বিকশিত হবে, তবে পারস্পরিক সুবিধা এবং আঞ্চলিক আন্তঃনির্ভরশীলতা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। ‘আমি খুব আত্মবিশ্বাসী পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বা পারস্পরিক সুবিধার বাস্তবতা এবং আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার ক্ষমতা উভয়ই আমাদের স্বার্থের জন্য কাজ করবে। এই বাস্তবতাগুলো উঠে আসবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর এক দশকের অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে অব্যাহত ইতিবাচক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন,‘গত এক দশকে আমরা যা করেছি তা হলো বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প করা, যা আমাদের উভয়ের পক্ষের জন্য ভাল হয়েছে। সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে এবং এ অঞ্চলের সরবরাহের উন্নত হয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন যাই হোক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post