টেলিকম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ লেবানন ও বৈরুতের কিছু অংশের বাসিন্দাদের এলাকা ছাড়ার বার্তা দিয়েছে ইসরাইল। গতকাল সোমবার এ ধরনের সতর্কবার্তা দেয়া হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে হামলা করে ইসরাইল। এতে ২৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে ইসরাইল ঘোষণা করে যে তারা বৈরুতে বোমা হামলা চালিয়েছে।
এতে প্রশ্ন ওঠেছে যে ইসরাইল কি তবে তার উত্তর প্রতিবেশী লেবাননের টেলিকম নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে?
যেহেতু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে, তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে সতর্ক বার্তাগুলো লেবাননের ওপর ইসরাইলের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বেরও একটি প্রমাণ। তারা সেখানে একটি প্লেবুকও পুনরাবৃত্তি করেছে, যা গাজায় তারা ব্যবহার করেছে।
লেবাননে আসলে কী ঘটেছিল, কেন সতর্ক বার্তাগুলো তাৎপর্যপূর্ণ এবং কিভাবে ইসরাইল লেবাননজুড়ে মানুষের ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যম হ্যাক করেছে, বিষয়টি বিশ্লেষণে যাওয়া যাক।
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চীয় একটি এলাকা ও বৈরুতের কিছু অংশের বাসিন্দা সোমবার ভোরে লেবাননের নম্বর থেকে একটি বার্তা পায়। সেখানে তাদেরকে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
কিছু লোক তাদের মোবাইল ফোনে বা তাদের ল্যান্ডলাইনে রেকর্ড করা কলও পেয়েছে। কেউ কেউ পাঠ্য বার্তা পেয়েছে। আল জাজিরার মাজেন ইবরাহিম বৈরুত থেকে জানিয়েছেন, টেলিকম নেটওয়ার্কে পাঠানো সকল বার্তা একই ছিল। তিনি বলেন, আল জাজিরার দেখা একটি বার্তা সকাল ৮টা ২০ মিনিটে পাঠানো হয়েছিল। এতে লেখা ছিল, আপনি যদি হিজবুল্লাহর অস্ত্র থাকা কোনো ভবনে থাকেন, তাহলে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত গ্রাম থেকে দূরে থাকুন।
সোমবার আল জাজিরার সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বার্তাগুলো সরবরাহ করার জন্য রেডিও সম্প্রচারগুলোও হ্যাক করা হয়েছিল।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি সোমবার তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও দেন। সেখানে তিনি বলেন, আমরা লেবাননের গ্রামের বাসিন্দাদের ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পাঠানো বার্তা এবং সতর্কতার প্রতি মনোযোগ দেয়ার আহ্বান করছি।
সূত্র : আল জাজিরা
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post