কাতারে ওমান নাগরিক আহমেদ শাকির মোহাম্মদ আল বেলুশির সেলিয়া সেন্টাল সবজি মার্কেটের একটি দোকান থেকে বাংলাদেশি ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়েছে কুমিল্লার মাসুদুর রহমান মাসুদ। তার দেশে পালিয়ে যাওয়ায় ওই দোকানে কর্মরত তিন বাংলাদেশি পড়েছেন বিপাকে। মাসুদুর রহমান মাসুদের গ্রামের বাড়ি সালমানপুর এলাহিপুর কুমিল্লা সদর দক্ষিণ কুমিল্লা বলে জানা গেছে। তার বাবার নাম সেলিম মিয়া।
তার বিচার চেয়ে কাতারে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উক্ত দোকানে কর্মরত তিন বাংলাদেশি মোহাম্মদ সাদ্দাম, মামুন হোসেন, কবির হোসাইন ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
অর্থ আত্মসাৎ করে কাতার থেকে দেশে পালিয়ে আসায় মাসুদুর রহমান মাসুদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারে কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও কুমিল্লা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ও কমিউনিটির নেতারা।
আরো পড়ুনঃ
ভালো কাজের এই প্রতিদান!
ওমান রুটে বিমানের এ কি হাল!
পাসপোর্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ওমান প্রবাসীরা
ফেসবুক প্রতারণা থেকে প্রবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বান
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা বলেন, দোকানের মালিক ওমানি নাগরিক কাতারে না থাকায় কৌশলে তাদের অজান্তে গোপনে টাকা নিয়ে দেশে পালিয়ে আসেন মাসুদ। দোকানের মালিককে তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানালেও মালিক ওমান থেকে ফিরে ‘এই অর্থ আত্মসাতে আমরা জড়িত’ উল্লেখ্য করে কাতার পুলিশের কাছে মামলা করে।
‘দোকানের মালিক এই বিপুল পরিমাণ অর্থ আমাদের তিনজনের কাছে দাবি করে। অন্যথায় যতদিন পর্যন্ত এই অর্থ মালিককে ফেরত না দেব ততদিন পর্যন্ত আমাদের তিনজনের দেশে যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।” এই অবস্থায় চরম বিপদের মধ্যে পড়েছে বাকি ৩ শ্রমিক। কাতার দূতাবাসের পক্ষথেকে মাসুদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সুপারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দূতাবাসের তৃতীয় সচিব এ কে এম মুনীরুজ্জামান।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post