বিশ্বের ৪৭টি দেশকে ‘বিধ্বংসী মনোভাবের দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন এই তালিকার অনুমোদন দিয়েছেন। মূলত, যেসব দেশের সঙ্গে রুশ মূল্যবোধের সংঘাত আছে, সেসব দেশকে এই তালিকায় নেওয়া হয়েছে। এই তালিকাকরণের বিষয়টি এসব দেশে ভিন্নমতাবলম্বীদের রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়লাভের সুযোগ দেবে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাসের প্রতিবেদন অনুসারে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগস্টে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। সেখানে বলা হয়, যেসব বিদেশি রাশিয়ার ঐতিহ্যগত মূল্যবোধের সঙ্গে একমত পোষণ করেন এবং নিজ নিজ দেশের সরকারের চাপিয়ে দেওয়া নব্য উদারতাবাদের বিরোধিতা করেন, তাঁরা রাশিয়ায় আশ্রয়লাভের আবেদন করতে পারবেন।
এরপর শুক্রবার রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিখাইল মিশুস্তিন আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সব দেশের তালিকা প্রকাশ করেন, যেগুলো রাশিয়ার মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক মতাদর্শ এবং ধ্বংসাত্মক নব্য উদারতাবাদী ভাবাদর্শ লালন করে। তালিকাটি রাশিয়ার সরকারের বিভিন্ন পোর্টালে প্রকাশ করা হয়েছে।
দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহামা, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, গ্রিস, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, স্পেন, ইতালি, কানাডা, সাইপ্রাস, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লিখটেনস্টেইন, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মাইক্রোনেশিয়া, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে ও পোল্যান্ড।
এ ছাড়া পর্তুগাল, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, সান মারিনো, উত্তর মেসেডোনিয়া, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তাইওয়ান, ইউক্রেন, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ক্রোয়েশিয়া, মন্টেনেগ্রো, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, এস্তোনিয়া ও জাপান। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো সদস্য হওয়ার পরও স্লোভাকিয়া ও হাঙ্গেরিকে এই তালিকায় স্থান দেওয়া হয়নি। এ ছাড়া রাশিয়ার এই তালিকায় স্থান পায়নি ন্যাটোর আরেক সদস্য তুরস্কও।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post