৭০ বছরের পুরনো কাফালা প্রথা (দাসত্ব প্রথা) বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে শ্রম আইনের ঐতিহাসিক সংস্কার করে নতুন যুগের সূচনা করেছে সৌদি আরব। এখন থেকে দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশি শ্রমিকরা তাদের নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে খুশি প্রবাসী শ্রমিকরা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষা ও নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সৌদি সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার (১৪ মার্চ) থেকে দেশটির শ্রম আইনের সংস্কারের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। নতুন এ সংস্কারের ফলে প্রবাসীদের জন্য ব্যাপক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ সংস্কারের ফলে দেশটিতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রবাসীরা তাদের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়গুলো নিয়ে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।
সৌদি সরকারের যুগান্তকারী এ উদ্যোগের ফলে বিদেশি কর্মীরা চাকরি পরিবর্তন, নিয়োগকারীদের সম্মতি ছাড়া দেশত্যাগ, সরাসরি সরকারি চাকরিতে আবেদনের অনুমতি, কর্মসংস্থান চুক্তিগুলো ডিজিটালভাবে নথিভুক্ত হওয়া, প্রতিযোগিতামূলক এবং সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করা ও কর্মীদের রেসিডেন্সির মর্যাদা অর্জনে সহায়তা করবে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সময় গত রোববার থেকে কার্যকর হওয়া আইনের নতুন এ সংস্কারের ফলে লাখ লাখ অভিবাসী ও প্রবাসী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতার নতুন এক মাত্রা যুক্ত হয়েছে বলে মনে করছেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।
আরো পড়ুনঃ
ভালো কাজের এই প্রতিদান!
ওমান রুটে বিমানের এ কি হাল!
পাসপোর্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ওমান প্রবাসীরা
ফেসবুক প্রতারণা থেকে প্রবাসীদের সতর্ক থাকার আহ্বান
সৌদিতে প্রবাসীদের কর্মস্থলে কর্মচারী ও নিয়োগকর্তার উভয়ের অধিকার রক্ষা করা এবং পুনরায় প্রবেশের ভিসার অনুমতির বিষয়েও নিশ্চয়তা দেবে নতুন এ সংস্কার। সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব শ্রমিকদের নিয়োগ চুক্তি দেয়া হয় না বা বেতন পরিশোধ করা হয় না তাদের জন্যও বিধান রাখা হচ্ছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কাফালা পদ্ধতি সংশোধন করেছে। ছয় সদস্যের উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিল জুড়ে একসময় এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। এদিকে শুনা যাচ্ছে শীঘ্রই সৌদির পার্শ্ববর্তী দেশ ওমানেও এই দাসত্ব প্রথা বাতিল করে নতুন আইন করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post