ইউরোপে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কোভিডের নতুন ধরন এক্সইসি প্রজাতি। গত জুন মাসে প্রথমবার জার্মানিতে এই প্রজাতির সন্ধান মিলেছিল। তারপর থেকে একাধিক দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। এখন পর্যন্ত ১৩টি দেশে এই নতুন ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে জানা গেছে। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
কোভিডের এই নতুন ধরনটিতে ওমিক্রন সাব-ভেরিয়েন্টের কেএস.১.১ এবং কেপি.৩.৩ এর মিশ্রণ রয়েছে। কেএস ১.১ এফএলআইআরটি ভ্যারিয়েন্ট; যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিডকে ছড়ানোর কাজ করছে। অন্যদিকে কেপি ৩.৩ এফএলইউকিউই ভ্যারিয়েন্ট; যার মধ্যে মানুষের শরীরে অতি দ্রুত এই ভাইরাস মিশে যাওয়ার ক্ষমতা আছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এক্সইসি প্রজাতিতে এমন মিউটেশন রয়েছে যা করোনা ভ্যাকসিনকেও হারাতে পারে। তাই নতুন করে বুস্টার ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিষেজ্ঞরা।
কোভিড ডাটা অ্যানালিস্ট মাইক হানি সামাজিকমাধ্যম এক্সে বলেছেন, ডেনমার্ক এবং জার্মানিতে এক্সইসি ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে।
এজন্য যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ অফার করেছে তাদের জন্য, যারা কোভিড-১৯ হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়েছিলেন।
এদিকে ইউকে হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সি (ইউকেএইচএসএ) জানিয়েছে, ভাইরাসের রূপান্তর এবং পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক।
এর লক্ষণগুলো আগের মতো একই ঠান্ডা বা ফ্লু মতো বলে মনে হলেও নতুন ধরনে জ্বর, গলাব্যথা বা কাশি, শরীরে ব্যথা, অ্যালার্জি, ক্লান্তি এবং ক্ষুধামন্দা হতে পারে।বেশিরভাগ মানুষই কোভিডে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভালো বোধ করেন; কিন্তু এটি পুরোপুরি সারতে অনেক বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post