নাটোরের গুরুদাসপুরে কামাল হোসেন নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে তার বাবা হারেজ আলী (৭৫) কে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল ডাকাত। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন কামালের মা হলেদা বেগম (৭০)। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের মিল্কি ধানুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বৃ-চাপিলা আদর্শ গ্রামের মমিন আলীর ছেলে সুমন আলী (৩০), ইউসুফ আলীর ছেলে মাসুদ রানা (৩২), মোজাম হোসেনের ছেলে মনিরুল ইসলামকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব হোসেন বলেন, ‘হারেজ আলী এক ছেলে কামাল হোসেন বিদেশে থাকেন। আরেক ছেলে খাঁজা আলী আলাদা বাড়িতে বসবাস করেন। বাড়িতে কামালের বাবা-মা বসবাস করতো। মঙ্গলবার ভোর রাতে প্রায় ৪ সদস্যের একটি ডাকাত দল বাড়ির প্রাচির টপকিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় হারেজ আলী নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে ঘুম থেকে উঠে ওযু করছিলেন। হঠাৎ কিছু লোকজন তার বাড়িতে দেখতে পেয়ে তিনি স্ত্রীকে ডেকে প্রতিবেশীদের সহযোগিতা পাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে জখম করে কামালের বাবা-মাকে।
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন কামালের বাবা হারেজ আলী। মা হলেদা বেগম রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পরে থাকেন। সেই সুযোগে ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়িতে থাকা টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতার হাতে আটক হয়। ৪ জন ডাকাতের মধ্যে ১ জন পালাতে পারলেও তিন জনকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জল হোসেন বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post