প্রশাসনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেও কোনো ধরণের খাদ্য ও ত্রাণ সহায়তা না পেয়ে মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে অনাহারে দিন কাটছে দিনমজুর জলিলের। মোবাইল ফোনে একাধিকবার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পরও কোনো ধরণের সহায়তা পাননি তিনি। বর্তমানে কোনো কাজ না থাকায় ধার -দেনা করে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলা না খেয়েই কাটাচ্ছেন তিনি। লকডাউন স্থায়ী হলে সামনের দিনগুলোতে হয়তো খেতেই পারবেন না বলে শঙ্কা করছেন জলিল।
বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা জলিল কাজ করতেন রাজধানীর ধানমন্ডির একটি ডেকোরেটরের দোকানে। বিয়ে কিংবা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানের জন্য ডেকোরেটরের দোকানের মালামাল আনা-নেয়া করতেন তিনি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে সব ধরণের সামাজিক আয়োজন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মার্চেই গ্রামের বাড়িতে ফিরে যান।
নিজের কোনো সঞ্চয় না থাকায় এবং আগে থেকেই দেনায় জর্জরিত হওয়ায় বাড়িতে গিয়ে বড় সমস্যায় পড়েন তিনি। আগে স্থানীয় দোকান থেকে বাকিতে কেনাটাকা করতে পারলেও এখন বাকির পরিমাণ বেশি হয়ে যাওয়ায় এবং আর কবে কাজ করতে পারবেন তেমন নিশ্চয়তা না থাকায় সেই সুযোগও পাচ্ছেন না তিনি।
জলিল বলেন, মা, দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে আগে থেকেই সংসারে টানাপোড়া ছিল। একটা ভরসা ছিল বেঁচে থাকলে কাজ করতে পারবই এবং পারিশ্রমিকও পাব। কিন্তু করোনার কারণে এখন আর কাজ নেই। ঢাকা থেকে বাড়ি চলে এসেছি। এখানেও কোনো কাজ নেই। দোকানে অনেক টাকা বাকি হওয়ায় এখন দোকানদারও বাকিতে আর কিছু দেয়না। এদিকে ঘরেও চাল নেই।
জলিল বলেন, উপায় না দেখে পরিচিত একজনের পরামর্শে দিন ১৫ আগে কল দিয়েছিলাম এখানকার ইউএনওকে। তিনি সহায়তার আশ্বাস দিয়েছিলেন, তবে এখনও পাইনি কোনো ধরণের সহায়তা। এরপর ওই ব্যক্তির পরামর্শেই কল দেই বরিশালের ডিসিকে। তিনি বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি। কিন্তু আজও আমি তার নেয়া কোনো পদক্ষেপ দেখতে পেলাম না।
এখন পর্যন্ত সরকারি কোনো ধরণের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, শুনেছি সরকার এত ত্রাণ দিচ্ছে। এই ত্রাণ কারা পাচ্ছে? আমি তো এখনও কোনো সহায়তা পাইনি। এভাবে চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে সংসারের সদস্যদের নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে।
এই অবস্থায় জলিল সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। চাইলে আপনিও সহায়তা করতে পারেন জলিলকে। জলিলের ব্যক্তিগত নাম্বার ০১৭২৬০০৬৩৯৭। এই নম্বরটিতেই বিকাশ খোলা রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post