ইসরায়েলের তেল আবিবে প্রথমবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথিরা। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এই হামলা করেছে গোষ্ঠীটি। তবে হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এ ধরণের আরও হামলা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হুথিরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া বলেছে, এ হামলায় গোষ্ঠীটি একটি নতুন হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে, যেটি মাত্র সাড়ে ১১ মিনিটে ২ হাজার ৪০ কিলোমিটার (১ হাজার ২৭০ মাইল) পাড়ি দিয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি খোলা স্থানে আঘাত হানে এবং এতে কেউ হতাহত হননি।
স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে মধ্যাঞ্চলের একটি খোলা স্থানে অবতরণ করে। এর কয়েক মুহূর্ত আগে, তেল আবিব ও মধ্য ইসরায়েলজুড়ে বিমান হামলার সাইরেন বেজে ওঠে।
রয়টার্স মধ্য ইসরায়েলের একটি খোলা মাঠে ধোঁয়া উড়তে দেখেছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র বা ইন্টারসেপ্টরের ধ্বংসাবশেষের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় ওইদিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুর করে ইসরায়েল। এর পর থেকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়েছে ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে হুথিরা।
তবে এর আগের হামলাগুলোতে হুথিদের ব্যবহার করা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলের আকাশসীমার গভীরে প্রবেশ করেনি। মার্চে হুথিদের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইলাতের লোহিত সাগর বন্দরের কাছে একটি খোলা স্থানে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছিল।
ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও ড্রোন দিয়েও ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আক্রমণ করেছে হুথিরা। এর মধ্যে জুলাইয়ে করা একটি হামলায় হুথিদের ড্রোন প্রথমবারের মতো তেল আবিবে আঘাত করেছিল। এ হামলঅয় একজন নিহত এবং আরও চারজন আহত হয়েছিল। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় হোদেইদাহ বন্দরের কাছে হুথি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা বিমান হামলা করে ইসরায়েল। এ হামলায় ছয়জন নিহত এবং আরও ৮০ জন আহত হন।
সারিয়া বরেন, ইসরায়েলের ভবিষ্যতে আরও হামলার আশঙ্কা করা উচিত। কেননা, ‘আমরা হোদেইদাহ শহরে আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়াসহ ৭ অক্টোবরের অভিযানের প্রথম বার্ষিকীতে পৌঁছেছি।’
রবিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে করা একটি পোস্টে হুথির মিডিয়া অফিসের ডেপুটি হেড নাসরুদ্দিন আমের বলেছেন, ‘২০টি ক্ষেপণাস্ত্র বাধা দিয়েও ব্যর্থ হওয়ার পর’ ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলে পৌঁছেছিল। এই ঘটনাটিকে কেবল তো ‘শুরু’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আরও জানায়, রবিবার লেবানন থেকেও ইসরায়েলের দিকে ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল। সেগুলোকে হয় বাধা দেওয়া হয়েছিল নতুবা খোলা জায়গায় অবতরণ করেছিল।
তবে এ ঘটনায় ‘কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’ বলে জানিয়েছে সামরিক বাহিনী।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post