কোন পাশ দিয়ে বিমানে উঠছেন বা নামছেন সেটি খেয়াল করেন না বেশিরভাগ যাত্রী। তবে বিমানে ওঠার দরজা বাম পাশে থাকার একটি নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। এরসঙ্গে জড়িত আছে একটি পুরোনো ঐতিহ্য।
ডৌগি শার্প নামের এক টিকটক ক্রিয়েটর— যিনি অবাক করা বিভিন্ন বিষয় সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরেন— তিনি সম্প্রতি বিমানের দরজা বাম পাশে থাকার বিষয়টি বিশ্লেষণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, “আমাদের বিমানের বাম পাশ দিয়ে ওঠা ও নামার বিষয়টি মানব সভ্যতার নৌকা/জাহাজে চলাচলের সময়ের সঙ্গে জড়িত। প্রাচীন আমলে নৌকা এবং জাহাজে মালামাল ও যাত্রী বাম পাশ দিয়েই ওঠানো এবং নামানো হতো।”
“এই বিষয়টি লজিস্টিক্যালি সবকিছু সহজ করে দেয় এবং জাহাজগুলো বিশ্বের সব দেশের সব বন্দরে চলাচল করতে পারত। এরমাধ্যমে জাহাজে সবসময় সঠিক পাশে সঠিক দিকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র থাকত। যেহেতু মানুষ বাম পাশ দিয়ে জাহাজে উঠতেন-নামতেন সেজন্য জাহাজের বাম পাশকে ‘পোর্ট সাইড’ বলা হয়ে থাকে। অপরদিকে ডান পাশকে বলা হয় ‘স্টারবোর্ড’। জাহাজের পুরোনো এই পদ্ধতিটিই আধুনিক বিমান চলাচল ব্যবস্থায় গ্রহণ করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেছেন, “প্রযুক্তির উন্নয়ন এবং বিমানযাত্রা যখন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয় তখন ইঞ্জিনিয়াররা এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করেন। প্রত্যেক এ বিমান ও বিমানবন্দর মনভাবে বানানো হয়েছে যেন যাত্রীরা বাম পাশ থেকে ওঠতে পারেন।”
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ মাইকেল ওকলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এএফএআর নামের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এটি বিমান চালনার অনেক পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম যেটি বিমান চলাচল শুরুর আগে থেকেই ছিল। এটি জাহাজ চলাচল সময়কার। বিমান চলাচল খাতের অনেক কিছুই সামুদ্রিক চলাচল পদ্ধতি থেকে নেওয়া হয়েছে। বিমানে ওঠা-নামার বিষয়টিও এমন। জাহাজে এবং নৌকায় যেমন পোর্ট সাইড হিসেবে বাম পাশ ব্যবহার করা হয় বিমানেও এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post