পটুয়াখালীতে সেনাবাহিনীর ভুয়া মেজর (অবসরপ্রাপ্ত)সহ প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ওয়ারেন্ট অফিসার মো. মাসুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সেনাবাহিনীর মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) পরিচয় দেওয়া ব্যক্তির নাম মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ (৫৫)। তিনি দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের সোনামুউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। আটক অন্যরা হলেন– আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঝাটরা গ্রামের শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, দুমকি উপজেলার ঝলিশা গ্রামের আব্দুল আউয়াল খানের ছেলে মো. রেজাউল করিম ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের মৃত সোহরাব হাওলাদারের ছেলে মো. জসিম হাওলাদার।
সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অবস্থিত অস্থায়ী আর্মি ক্যাম্পে এসে মো. সালাহউদ্দিন নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর বলে পরিচয় দেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ করেন। এসময় সালাহউদ্দিন নিজেকে ১৯ নং ফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত মেজর অফিসার বলে পরিচয় দেন। তার কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি ভুয়া সেনা কর্মকর্তা। তার সঙ্গে থাকা অন্যরাও একপর্যায়ে নিজেদের সেনাবাহিনীর ভুয়া সদস্য বলে স্বীকার করেন। পরে তাদের আটক করে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মোহসীন বলেন, মো. সালাহউদ্দিন ব্যক্তিগত একটি অভিযোগ নিয়ে আমাদের সদর উপজেলা ক্যাম্পে আসেন এবং নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। তার সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে কথাবার্তা সন্দেহজনক মনে হলে তার বিএ নম্বর জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেননি। তখন তাকে আরও বিশদভাবে জিজ্ঞেস করলে ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং তিনি সত্যতা স্বীকার করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রতারক চক্রের চারজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও দেখুনঃ
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post