গণআন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গত ৫ আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিন তিনি একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে আগরতলায় যান এবং সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি বিমানে করে দিল্লি পৌঁছান। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এমনটাই দাবি করা হয়।
তবে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানবাহিনীর বিমানটি গত ৫ আগস্ট ঢাকা ছাড়ার সময় একটি প্রশিক্ষণ ফ্লাইট হিসেবে উড্ডয়ন করে এবং এর ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেয়।
ট্রান্সপন্ডারের মাধ্যমে বিমানের অবস্থান, কোন পথে যাচ্ছে, উচ্চতা এবং গতি সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এছাড়া এতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম।
ওইদিন শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি পশ্চিমবঙ্গে ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এই ট্রান্সপন্ডার চালু করেনি।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) থেকে ফ্লাইট এজেএএক্স১৪৩১ এর প্রোগ্রেস স্ট্রিপের একটি অনুলিপি পাওয়া গেছে। যাতে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রোগ্রেস স্ট্রিপ হলো এমন একটি ছোট কার্ড, যার মাধ্যমে এটিসি আকাশে উড়তে থাকা নির্দিষ্ট উড়োজাহাজ ট্র্যাক করে, যাতে অন্য কোনো উড়োজাহাজের সঙ্গে সেটির সংঘর্ষ না হয়।
ফ্লাইট প্রোগ্রেস স্ট্রিপ অনুযায়ী, হাসিনাকে বহনকারী বিমাটি ৫ আগস্ট বিকেল ৩টা ৯ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পশ্চিমে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এয়ারবেস থেকে উড্ডয়ন করে।
বিমানটি ঢাকা-কলকাতা রুটের ওয়েপয়েন্ট ‘বিইএমএকে’ পৌঁছানোর পর ট্রান্সপন্ডার ও স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম চালু করে। এরপর থেকেই এটি রাডারে দেখা যায়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post