বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, একটি গণঅভিপ্রায়ের বিরুদ্ধবাদী সংবিধান অর্ধশতাব্দী বাংলাদেশের মানুষকে হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে চালিত করেছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিনতাইয়ের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী বন্ধুরূপী রাষ্ট্র বাংলাদেশের বুকের ওপর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী নীতিমালার আলোকে গণঅভিপ্রায় বিরোধী সংবিধান বাংলাদেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল।
বুধবার বিকালে মুন্সীগঞ্জ শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন প্রধান সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতদের স্মরণে দোয়া ও নৈরাজ্যবাদবিরোধী পথসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মামুনুল হক বলেন, একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৫ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ রূপান্তরিত হওয়ার স্বপ্ন মানুষের চোখে ভেসে উঠেছে। ছাত্রসমাজ ও আলেম সমাজকে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। সব ইসলামপন্থি দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কেউ যাতে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে, সেদিকে ছাত্র এবং উলামায়ে কেরামকে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, হিন্দুরা যত ইচ্ছা মূর্তি তৈরি করতে পারবে; কিন্তু মুসলমানের কোনও স্থাপনার সামনে মূর্তি থাকতে পারবে না। হিন্দুদের পূজাকে সামনে রেখে নৈরাজ্যবাদীরা যাতে কোনও নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে খেলাফত মজলিস, হেফাজতে ইসলামসহ সব ইসলামি দলকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি ছিল বিভাজনের রাজনীতি। আমরা আর বিভাজন চাই না, আমরা সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবো। সেখানে সব ধর্মের লোক সমান অধিকার ভোগ করবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মুন্সীগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে জেলা শাখার আহ্বায়ক মাওলানা ওয়ালীউল্লাহ হাসানের সভাপতিত্বে পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আল্লামা আব্দুল হামিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কার্যনির্বাহী সদস্য মাওলানা মুফতি নূর হোসাইন নূরানী ও জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post