মুন্সীগঞ্জ সদর উপেজেলায় ১৪ বছর আগে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তার স্ত্রীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন ঊর্মি এ রায় ঘোষণা করেন বলে আদালদের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম পল্টু জানান।
দণ্ডিতরা হলেন-ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা রেশমা বেগম, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার মনু মিয়ার ছেলে মো. ফারুক মিয়া, কুমিল্লার মেঘনা থানার বন্ধনপুর গ্রামের বদুরজ্জামান বাদলের ছেলে নাসির উদ্দিন মিঠু ও নিহতের সৎ ভাই মো. বেলায়েত হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না। তারা সবাই পলাতক রয়েছেন।
রায়ে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন বিচারক। অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ঢাকার উত্তর যাত্রাবাড়ী এলাকার আমির হোসেনের ছেলে গ্রীস প্রবাসী মোশারফ হোসেনের সঙ্গে সদর উপজেলার পাচঁঘড়িয়াকান্দি এলাকার হোসেন সরকারের মেয়ে রেশমা বেগমের বিয়ে হয়। ২০১০ সালের ৯ অগাস্ট মোশারফ বাংলাদেশে আসেন।
স্ত্রী রেশমার সঙ্গে দেখা করতে পরদিন মুন্সীগঞ্জের পাচঁঘড়িয়াকান্দি শ্বশুর বাড়ি যান তিনি।
এরপর ফেরার পথে সন্ধ্যার দিকে শহরের বাসস্ট্যান্ড লিচুতলায় দুটি মোটরসাইকেলে চারজন এসে মোশারফকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ১১ অগাস্ট অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন মোশারফের মা হাজেরা বেগম।
অতিরিক্ত পিপি বলেন, “মোশারফ গ্রীসে থাকাকালীন তার সৎ ভাই বেলায়েতের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী রেশমা। এর জেরে ভাড়াটিয়া খুনিদের মাধ্যমে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post