সম্প্রতি চিত্রনায়িকা ও উপস্থাপিকা জাহারা মিতুকে নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনদের অনেকেই এই অভিনেত্রীকে নিয়ে কথা বলছেন। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই সাবেক সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে নায়িকার সম্পর্ক নিয়েই মূলত এই চর্চা। একাধিক সংবাদমাধ্যমের শিরণাম এই অভিনেত্রী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে আসতেন অভিনেত্রী জাহারা মিতু- এমন শিরোনামে একটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চটেন জাহারা মিতু। সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন মিতু। ভেরিফায়েড পেজে রোববার (৮ আগস্ট) এক পোস্ট দিয়ে অভিনেত্রী বলেন, একটা আজব স্ক্রিপ্ট দিয়ে শুরু আজকের এই অবস্থা, একটা তৃতীয় সারির অনলাইন পোর্টাল যার নামও আমি এর আগে কখনো শুনিনি। হয়ত ওই নিউজটাই তাদের সবচেয়ে দ্রুত ভিউ পাওয়া একটি নিউজ।
মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, কোনো সোর্স কিংবা প্রমাণ ছাড়াই মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর মতন দুর্বল স্ক্রিপ্ট, সেইসাথে দুর্দান্ত কাস্টিং। আর কি লাগে? ভিউয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। যখন সোর্স কি জিজ্ঞাসা করা হলো, উত্তর এলো সবাইতো বলে। এই সবাইতো বলে, এটা নাকি কোনো সোর্স?
নিউজ লেখার বিষয়ে জাহারা মিতুর ভাষ্য, অথচ সবাই জানলোই তার ওই স্ক্রিপ্ট দিয়ে, তার আগে কেউ কিছু জানেই না। যাই হোক, খুঁজতে থাকলাম এই স্ক্রিপ্ট এর রচয়িতা কে? একটি ছবি পেলাম হাতে। রচয়িতার ছোট্ট মেয়ে কোলে বসে আছে। বাবার কোলে মেয়ে। আমার আব্বু নেই, তাই হয়ত ছবিটা দেখে রাগ কিছুটা কমে গিয়েছিলো। ভেবেছিলাম ছবিটা দিয়েই পোস্ট দিবো, সাংবাদিকতার লাল-হলুদ-নীল রং নিয়ে কথা বলবো। তবে থেমে গেলাম এই ছোট্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে।
পোস্টের শেষে মিতু লিখেছেন, দোয়া করি মা, তোমার বাবা যেভাবে একটা মেয়ের বদনাম রটিয়েছে তা তোমার ভাগ্যে কখনো না জুটুক। তোমার নামে কেউ কখনো মিথ্যা অপবাদ না দিক, আল্লাহ যেন তোমাকে কোনো পাড়া-প্রতিবেশীরও মিথ্যা অপপ্রচারের ভাগীদার না করে। বড় হও, তবে বাবাকে এসব অপরাধের জন্য ঘৃণা করো না, হয়ত তোমার মুখে ভাত তুলে দিতেই আজ তার এই অবস্থা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post