বিমানে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে সিট খালি থাকে, অথচ বুকিং দেয়ার সময় সিট পাওয়া যায় না। বেশ অনেক বছর যাবৎ এই ধরনের অনিয়মের মধ্যে দিয়েই চলছে দেশের বিমান ব্যবস্থা।
তাই বিমানের টিকেট বিড়ম্বনা বাংলাদেশি প্রবাসীদের কাছে এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এমন খুব কম প্রবাসী খুঁজে পাওয়া যাবে যারা বিমানের টিকেট বিড়ম্বনায় পড়েননি। তবে সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাতায়াত করা প্রবাসীদের।
গতকাল ২৬-ফেব্রুয়ারি রাতে চট্টগ্রাম থেকে ওমানের মাস্কাট গামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেখাগেছে প্রায় পুরো বিমানের সিটই ফাঁকা রেখে ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে জাতীয় পতাকাবাহী বিমান। অথচ বুকিংয়ের সময় সিট খালি না পেয়ে অনেক প্রবাসী সময় মতো পৌঁছাতে পারছেননা নিজস্ব গন্তব্যে। আবার সিট পাওয়া গেলেও তার মূল্য আকাশচুম্বী।
প্রতিবেদকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরো বিমানের ৮০ শতাংশ সিট ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু যাত্রীরা ওমানে যাওয়ার জন্য বুকিং করতে পারছেন না টিকেট। তাহলে ফাঁকা থাকা সত্যেও টিকেট বুকিং করছেন কারা। এমন তথ্য হয়তো নেই বিমান কর্তৃপক্ষের কাছেও।
তবে খোজ নিয়ে জানাগেছে, একটি দালাল চক্র কালো বাজারি করে বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট করে রাখে উচ্চমূল্যে বিক্রির আসায়, যেকারনে বিমানের সার্ভারে টিকিট পাননা ট্রাভেল এজেন্সি গুলো।
আরো পড়ুনঃ
কৃত্রিম চাঁদ বানাচ্ছে সৌদি আরব
সহজে ই-পাসপোর্ট করবেন যেভাবে
পাসপোর্ট নিয়ে চরম ভোগান্তিতে ওমান প্রবাসীরা
জনসনের তৈরি করোনা ভ্যাকসিন এক ডোজই যথেষ্ট
যে কারণে এই ধরনের বিড়ম্বনায় যেমন ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের। ঠিক অন্যদিকে সিট ফাঁকা নিয়ে বিমান চলাচলে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জাতীয় এই প্রতিষ্ঠান।
তাই বিমান পরিবহণ ব্যবস্থায় গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষার দিকে নজর দিতে হবে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এই ধরণের অনিয়ম দ্রুত বন্ধ না করতে পারলে দেশের জাতীয় এই প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা সরকারের দুঃসাধ্য হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post