নগদ টাকা উত্তোলনে বেঁধে দেওয়া সীমা প্রত্যাহার করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে গ্রাহক তার প্রয়োজন মতো ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলতে পারবেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থ-বৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে এ জন্য সতর্ক করতে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা বেঁধে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব শেষ গত সপ্তাহ সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ পর্যন্ত তোলা যেত। তবে নতুন সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার থেকে এই সীমা থাকছে না। আগের মতোই ব্যাংক থেকে গ্রাহক তার প্রয়োজন মতো নগদ টাকা তুলতে পারবেন।
শনিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মো. মুখপাত্র মেজবাউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলার যে সীমা বেঁধে দিয়েছিল রোববার থেকে তা আর থাকছে না।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে টানা ১৬ বছরের আওয়ামী লীগের নজিরবিহীন দুঃশাসন ও স্বেচ্ছাচারিতার অবসান ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের যাত্রা শুরু হয়। নগদ টাকা পরিবহনে নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হয়। এছাড়া অনেকেই ব্যাংক থেকে বেশি নগদ টাকা তুলে ব্যাংক খাতকে অস্থিতিশীল করতে পারে, এমন আশঙ্কাও করা হয়েছিল। সে জন্য ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের সীমা আরোপ করা হয়। যদিও প্রতি সপ্তাহেই সীমা বাড়ানো হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার প্রথম সপ্তাহে ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ তোলা যেত। পরের সপ্তাহ তা বাড়িয়ে দুই লাখ করা হয়। পরের তিন সপ্তাহ তা আরও বাড়িয়ে যথাক্রমে তিন, চার ও পাঁচ লাখ করা হয়। অর্থাৎ পাঁচ সপ্তাহ ধরে টাকা তোলার সীমা এক লাখ করে বাড়ানো হয়। তবে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা থাকলেও গ্রাহকরা যেকোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর ও ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post