অত্যন্ত সংক্রামক এমপক্সের প্রাদুর্ভাবকে জরুরি জনস্বাস্থ্য অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও। পাকিস্তানে ৫ জন এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছেন- তাদের তিনজনই মধ্যপ্রাচ্য থেকে সম্প্রতি পাকিস্তানে ফিরেছেন।
এরপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশে এর সংক্রমণ রয়েছে এমন গুঞ্জন উঠলেও ওমান, সৌদি, কুয়েত বাহরাইন জানিয়েছে, তাদের দেশে এমন রোগী এখনো শনাক্ত হয়নি।
তবে বিষয়টি তারা অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত সংক্রামক এই রোগে অন্তত ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে এমপক্স ভাইরাস অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয়ে থাকে। এমন সংস্পর্শের মধ্যে রয়েছে শারীরিক সম্পর্ক, ত্বকের স্পর্শ, কাছাকাছি থেকে কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির উপসর্গ ফ্লুর মতো।
রোগের একপর্যায়ে শরীরে ফুসকুড়ি দেখা দেয় এবং এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তাই ইতোমধ্যে বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রী ও পণ্যে ভালোভাবে স্ক্রিনিং করতে শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
ডেনমার্কের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি ব্যাভারিয়ান নর্ডিক জানিয়েছে, তারা এমপক্সের এক কোটি টিকা তৈরি করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার এমপক্স প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রস্থল আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে এই ভ্যাকসিনের প্রথম চালান পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে ১৭ হাজার এমপক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে ৬২৯ জনের।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post