চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ ফটিকছড়ি জাফতনগরের ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তেলপারই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মো. জাহাঙ্গীর ও মো. আলমগীর। তারা ওই এলাকার মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে। নিহত দুই ভাই মধ্যপ্রাচ্যের আরব অমিরাত প্রবাসী। তারা সোমবার দেশে এসে মঙ্গলবার হামলার শিকার হয়ে মারা গেলেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ফতেহপুরের নুরুল করিমের সঙ্গে তার স্ত্রী নিগার সুলতানার দাম্পত্যকলহ চলছিল। এ কারণে নুরুল করিম সদরে বাসা নিয়ে থাকেন। আর মেয়েকে নিয়ে স্বামীর বসতভিটায় থাকেন তার স্ত্রী। পারিবারিক কলহের জেরে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর একসঙ্গে বিদেশ থেকে দেশে আসেন।
এদিকে, বাড়ির লোকজন সবাই মিলে নুরুল করিমকে কান কথা লাগান। বাড়ির লোকজন নুরুল করিমের স্ত্রী ও মেয়ে সম্পর্কে নানা অপবাদ দিতে থাকেন। এসব অভিযোগ নিয়ে এর আগে সালিশ-বৈঠকও হয়েছিল।
দুই ভাই বিদেশ থেকে আসার পর মঙ্গলবার রাতে নুরুল করিম তাদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করেন। স্ত্রীর অপকর্মের কথা নানা দিক থেকে শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইদের নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে স্ত্রীর কাছে যান। এক পর্যায়ে নুরুল করিম ও তার ভাইয়েরা মিলে নুরুল করিমের স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি কোপান। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে বাধা দিলে তাদেরও কোপান নুরুল করিম ও তার ভাইয়েরা। পরে তাদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্থানীয় সাহাবুদ্দিন, বাচ্চু, বোরহানসহ ছয়জন আহত হন। এতে প্রতিবেশীরা ক্ষিপ্ত হয়ে করিম ও তার ভাইদের ধাওয়া দিয়ে পিটুনি দেন। ঘটনাস্থলেই আলমগীর আলম ও মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যু হয়।
জাফতনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জেরে সৃষ্ট হামলার ঘটনায় বাধা দিতে গেলে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে তিন ভাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী তাদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় ও সংঘর্ষে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post