সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করা থাকলেও মাত্র আড়াই বছরেই পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বেলা ১২টায় সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনিসহ পদত্যাগ করেছেন কমিশনের বাকি চার সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
এসময় নির্বাচন প্রভাবিত করার অভিযোগের জাবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচন সংবিধান মতে দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। নির্বাচন গ্রহণ যোগ্য না হলে সবসময় তা নির্বাচন কমিশনের ওপর দায় ওঠে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি যোগ দেয় নি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা একটি দলের নিজস্ব ব্যাপার। নির্বাচন যেহুতু একদলীয় ছিল তাই এটি প্রভাবিত করার দরকার ছিল না।
ভবিষ্যত নির্বাচনের জন্য কিছু প্রস্তাবনা রেখে তিনি বলেন, নির্বাচন ৪ বা ৮ টি পর্বে এবং প্রতিটি পর্বে ৩ থেকে ৫ দিনের বিরতি রেখে অনুষ্টান করলে ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সহজ ও সহায়ক হতে পারে। অনলাইনে নমিনেশনে দাখিল অব্যাহত রেখে নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবস্থা অপ্টিমআইজ করতে পারলে এটি ভবিষ্যতের জন্য ভালো হতে পারে বলেও জানান তিনি। প্রতিটি সাধারণ নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হলে উদ্দেশ্য অর্জন আরও সুনির্দিষ্ট হতে পারে বলেও প্রস্তাবনা দেন নির্বাচন কমিশন।
গত ৫৩ বছরের ইতিহাসে কোন কমিশন পদত্যাগ করেছে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিশেষে আপনাদের অবহিত করতে চাই আমিসহ মাননীয় কমিশনারগণ দেশের পরিবর্তিত বিরাজিত অবস্থায় পদত্যাগ করতে মনস্থির করেছি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post