ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে ফেনীতে সৃষ্ট বন্যায় এপর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার ফেনী জেলা প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে। মৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ৫জন নারী, ৪টি শিশু ও একজন জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের মধ্য ১৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে এবং বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলাটিতে বন্যা পানি কমে আসায় বিভিন্ন জায়গায় ভেসে আসা গলিত মরদেহ পওয়া যাচ্ছে।
জানা গেছে, মরদেহগুলোর মধ্যে পরশুরামে ২ জন, ফুলগাজীতে ৭ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, দাগনভূঞায় ২ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩ জন ও সদর উপজেলায় ৩ জন পাওয়া গেছে।
নিহত যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলেন- পরশুরাম উপজেলার উত্তর ধনীকুন্ডা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে সাহাব উদ্দিন (৭০), একই উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মধুগ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৪০), ফুলগাজী উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের শাকিলা আক্তার (২২), উত্তর করইয়া গ্রামের বেলালের ছেলে কিরণ (২০), দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রাজু (২০), কিসমত বাসুড়া গ্রামের আবুল খায়ের (৫০), লক্ষ্মীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ তারেক (৩২), শনিরহাট গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে রজবের নেছা (২৫), পূর্ব দরবারপুর গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহর ছেলে ইউসুফ (৬০)।
সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের মাবুল হকের ছেলে নাঈম উদ্দিন (২৮), ছাড়াইতকান্দি গ্রামের শেখ ফরিদের ছেলে আবির (৩), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৩৮), অজ্ঞাতনামা মহিলা (হিন্দু) (৩৮), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৪০) ও অজ্ঞাতনামা মরদেহ (মরদেহ নষ্ট হয় যাওয়ায় পুরুষ মহিলা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি) মৃতদেহ। দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর করিমপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে নুর মোহাম্মদ মিরাজ (৮ মাস) এবং জয়লস্কর এলাকার হুমায়ুন কবিরের ছেলে জাফর ইসলাম (৭)। ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের উত্তর মন্দিয়া গ্রামের কুরফুলেন নেসা (৭৫), মধ্যম নিশ্চিন্তা গ্রামের মিরান কাজী বাড়ির মৃত এবাদুল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ আইয়ুব খান (৬০) ও অজ্ঞাত মহিলা (৬০)। ফেনী সদর উপজেলার তেরবাড়ীয়া গ্রামের আজিজুল হক ভূঁইয়া বাড়ির সালেহ আহাম্মদ ভূঁইয়ার মেয়ে উম্মে সাইমা (৯), অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৪২) ও অজ্ঞাতনামা পুরুষ (৫০)।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারে বন্যায় ফেনীতে ১০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। দেড় লাখ মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ও বাকিরা বিভিন্ন উঁচু ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মারা যাওয়ার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধারের তথ্য আমরা পেয়েছি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post