বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে পাঁচ ভারতীয়কে গত ১৭ আগস্ট আটক করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি। এসব ভারতীয়কে ছাড়িয়ে নিতে গত রোববার ও সোমবার বিজিবির সঙ্গে একাধিক পতাকা বৈঠক করে ভারতের বিএসএফ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের ফেরত দেয়নি বিজিবি। এর বদলে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করা এসব ভারতীয়কে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিজিবি।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস।
বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ভারতীয় নাগরিকদের ছাড়তে বিজিবি অস্বীকৃতি জানিয়েছে । তিনি আরও জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এবারই প্রথমবারের মতো আটক ভারতীয় মাঝিদের ছাড়েনি বিজিবি।
ভারতীয় এ বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা দাবি করেছেন, গত ১৭ আগস্ট রাতে বিএসএফের মালদা ১১৫ ব্যাটালিয়ন পাঁচ মাঝিকে ডাকে। ওই সময় গঙ্গা নদী দিয়ে গরু চোরাচালান করা হচ্ছিল। ওই গরুগুলো উদ্ধারের জন্য পাঁচ মাঝিকে দুটি নৌকায় করে পাঠানো হয়।
ওই সময় মাঝিরা গিয়ে দেখতে পান কয়েকটি গরুগুলোকে ভাসমান কলা গাছের সঙ্গে বেধে রাখা হয়েছে। গরুগুলো উদ্ধারের সময় একটি নৌকা নদীর ঘূর্ণিতে ধাক্কা খায় এবং ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অপর আরেকটি নৌকা ইঞ্জিন বিকল হওয়া নৌকাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায়। কিন্তু নদীর পানির বৃদ্ধি ও ঢেউ থাকায় তারা ভেসে বাংলাদেশে চলে আসেন। এরপর তাদের আটক করে বিজিবি।
আটককৃত এসব মাঝিকে ছাড়িয়ে নিতে বিজিবির সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করে বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির জোয়ানরা তাদের ছাড়তে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়। বিএসএফ বিজিবিকে বোঝানোর চেষ্টা করে আটককৃত মাঝিদের তারাই নিয়োগ করেছিল। কিন্তু বিজিবি তাদের ছাড়েনি। এর বদলে ওই ভারতীয়দের পুলিশের কাছে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি একে আর্য হিন্দুস্তান টাইমসকের কাছে বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, “পরবর্তীতে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হয়। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ভালো সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে তাদের ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু বিজিবি আমাদের কাছে মাঝিদের হস্তান্তর করতে অপরাগতা জানায়। ভুলক্রমে বাংলাদেশে প্রবেশ করা আমাদের মাঝিদের এবারই প্রথমবারের মতো ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিজিবি।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post