অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন কথা জানান আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সে সময় তিনি বলেছিলেন, ‘যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গেছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সে জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি—বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টার কথায় স্পষ্ট ‘শেখ হাসিনা’র নামে বাংলাদেশে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনা থাকবে না। সে দিক বিবেচনা করে বলা যায় পূর্বাচলে হতে যাওয়া নতুন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম ও নকশা বদলে যেতে পারে! আগেই চূড়ান্ত করা হয়েছিল নৌকার আদলে নকশাকৃত স্টেডিয়ামটির নাম হবে- দ্য বোট-শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।
২০৩১ বিশ্বকাপের আয়োজক বাংলাদেশ। এ ছাড়া আগামী কয়েক বছরে বেশি কিছু আইসিসির ইভেন্টও রয়েছে। বেশ কয়েকটি স্টেডিয়ামের সঙ্গে এটির নির্মাণ কাজে হাত দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জমি অধিগ্রহণের পর অপেক্ষায় ছিল নির্মাণ কাজ শুরুর।
তবে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর দেশের বর্তমান বাস্তবতায় বদলে যাচ্ছে অনেককিছু। ক্রীড়া উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নামে এ স্টেডিয়ামটির নামকরণ থাকবে না এটা অনেকটা নিশ্চিত। এ ছাড়া স্টেডিয়ামের নকশা করা হয় নৌকার আদলে। তখন নদী মাতৃক বাংলাদেশের কথা বোঝায় বলা হলেও নৌকা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক।
তাই এ থেকে ধারণা করা যায় বদলে যেতে পারে এ স্টেডিয়ামের নকশাও। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিসিবির অবকাঠোমো পরিদর্শনের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সব সুযোগ-সুবিধা ঘুরে দেখেন।
তার বিসিবি পরিদর্শন নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন। শেখ হাসিনা স্টেডিয়ামের ভাগ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা একটা কনসার্ন। দেখেছেন যে, বিভিন্ন কর্মকর্তা যারা বিরোধিতা করেছেন, তাদের অন্যতম বিষয় ছিল এটা। সম্ভবত আগামী বোর্ড সভায় এটা নিয়ে কথা হবে। (টাকা প্রসঙ্গে) এই মুহূর্তে বলতে পারব না।’
২০১৯ সালে স্টেডিয়ামটি নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। করোনা মহামারীসহ বেশ কিছু কারণে গত ৫ বছরে স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু করতে পারেনি বিসিবি। দেশের প্রায় সব স্টেডিয়াম সরকারি অর্থায়নে নির্মিত হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মাধ্যমে।
তবে পূর্বাচলের স্টেডিয়ামটি নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করতে চেয়েছিল বিসিবি। তবে ধারণা করা হচ্ছে- পূর্বাচলে তৈরি হলেও নাম ও নকশা পরিবর্তন হচ্ছে স্টেডিয়ামটির।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post