মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে কুয়েতসহ গাল্ফ অঞ্চলে প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাহিদা কমে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হলো বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়।
মিশর, ভারত, নেপালসহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা কম ব্যয়ে এই অঞ্চলে আসতে পারায় বাংলাদেশি দের সুযোগ কমে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশি শ্রমিকরা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসনের সুযোগ হারাচ্ছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার ব্যয় অনেক বেশি, যার কারণে শ্রমিকদের কয়েক বছর লেগে যায় এই ব্যয় উঠিয়ে নিতে। ফলে যে ব্যয়ে কুয়েতসহ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীরা অনেক বেশি অর্থ উপার্জন করে, যার ফলে শ্রমিকদের ব্যয় বেড়ে যায়।
এদিকে মিশর, ভারত, নেপালসহ অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা এই সুযোগটা লুফে নিচ্ছে। আর আমরা মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারগুলো হারাচ্ছি। যেগুলোও চালু আছে সেগুলোতেও অধিকহারে অভিবাসন ব্যয়ের ফলে শ্রমিক সংকট হচ্ছে প্রভৃতি দেশগুলোতে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তারা জানায়, এখন আমাদের অভিবাসন ব্যয় কীভাবে কমানো যায় তার ওপর নজর দিতে হবে। ব্যয় কমাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সাথে সাথে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত অভিবাসন প্রক্রিয়ার মাঝে যেন কোন মধ্যস্বত্বভোগীরা অনুপ্রবেশ না করতে পারে সে ব্যাপারে নজরদারি বাড়াতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশি শ্রমিকদের মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে সংকট একটি গুরুতর সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার, বেসরকারি সংস্থা এবং প্রবাসী কল্যাণ সংস্থাগুলিকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন news@probashtime.com মেইলে।
Discussion about this post