মহামারী করোনার নতুন সংক্রমণ রোধে ওমান সুপ্রিম কমিটি নতুন নির্দেশনা জারী করেছে। বুধবার (১০-ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কমিটির এক জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫-ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টা থেকে ওমানে আগত সকলের জন্য ৭ দিনের হোটেল বুকিং কনফার্ম থাকতে হবে। পূর্বের হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম বাতিল করে সকলের জন্য বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন আইন জারী করা হয়েছে।
সেইসাথে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের খরচ নিজেদের বহন করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়। যাত্রীরা মাস্কাট এয়ারপোর্টে যেয়েও হোটেল বুকিং করতে পারবেন, তবে এতে খরচ বেশি হবে।
ওমানের বেশকিছু হোটেলের কথা উল্লেখ করেছে দেশটির সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। মাস্কাটের মধ্যে ৬ টি হোটেলের তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়, যে গুলো হচ্ছেঃ
১, সুইচ বেল-ইন মাস্কাট।
২, ইবাইস।
৩, সিকিউর ইন।
৪, শেরাটন।
৫, টিউলিপ ইন।
৬, সামারসেট প্যানারমা মাস্কাট।
মুসান্দাম গভর্নর:
১, দিব্বা বিচ হোটেল।
২, খাসাব হোটেল।
ধোফার/সালালাহ অঞ্চলের জন্য “আলফা হোটেল সালালাহ”।
বুরাইমি অঞ্চলের জন্য বুরাইমি এরিনা হোটেল।
আল দাখেলিয়াহ অঞ্চলের জন্য আল দিয়ার হোটেল।
উত্তর আশ শারকিয়াহ অঞ্চলের জন্য গোল্ডেন রে হোটেল।
দক্ষিণ আশ শারকিয়াহ অঞ্চলের জন্য সুর বীচ হোটেল।
উত্তর আল বাতিনা অঞ্চলের জন্য মারকিউস হোটেল সোলার।
এ ছাড়াও আগত যাত্রীরা ওমানের যেকোনো অঞ্চলের হোটেল বুকিং করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ওমানের সিভিল এভিয়েশন। সে জন্য অঞ্চল এবং হোটেলের উপর নির্ভর করবে খরচের পরিমাণ।
তবে ওমানের কয়েকটি হোটেলের সাথে প্রবাস টাইমের পক্ষথেকে খোজনিয়ে জানাগেছে, ৭ দিনের কোয়ারেন্টাইনের জন্য আনুমানিক একজন প্রবাসীকে সর্বনিম্ন ১০০ থেকে ৩০০ রিয়াল পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
হোটেলের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্যের জন্য প্রবাসীরা নিজনিজ ট্রাভেল এজেন্সি অথবা ওমানের কোনো হোটেলে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, আগামী ১৫-ফেব্রুয়ারি রাত ১২ টার পর যারাই ওমান প্রবেশ করবেন, তাদের অবশ্যই ৭ দিনের হোটেল বুকিং দেখাতে হবে এয়ারপোর্টে।
এদিকে ওমানে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ওমানে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত সন্দেহভাজন ২০০ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল জানা যাবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের এপিডেমিওলজিকাল বিভাগের পরিচালক ডা. আদেল আল-ওয়াহাইবি ওমান টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন, “করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ২০০ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের ফলাফল হাতে পাওয়া যাবে।”
আল ওয়াহাইবি আরও জানান, “করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মতোই নতুন স্ট্রেনের সংক্রমিত রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের নমুনা নেওয়া হয়েছে। নমুনার ফলাফল হাতে পেলেই জানা যাবো তারা করোনার নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত কিনা।”
সাম্প্রতিক সময়ে, ওমানে করোনায় সংক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। তবে ডঃ আল ওয়াহাইবি জানিয়েছেন যে, ‘‘বর্তমানে দেশটির তরুণ নাগরিকদের সংক্রমণের সংখ্যা বাড়েনি। হাসপাতালে করোনা রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া অবশ্যই উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। তবে সকলে সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের হার কমে আসবে।”
আরো পড়ুনঃ
ওমানে ফের লকডাউন!
কাতারে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা
ওমান সুপ্রিম কমিটির নতুন আইন জারী
নাযুক অবস্থায় ওমানের বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট
সৌদিতে সোফা কারখানায় আগুনে ৭ বাংলাদেশির মৃ’ত্যু
ওমানে সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় বিক্রি হবে একটি সুপার মার্কেট
আল ওয়াহাইবি দেশে করোনা ভ্যাকসিন টিকা দেওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন যে, ‘‘দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই বছর প্রথমার্ধে ২০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে এই বছরের মাঝামাঝির মধ্যে আমরা আমাদের লক্ষ্যে উপনীত হতে পারবো।”
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post