বিশ্বে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ বাড়ার পর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে আর্থ-সামাজিক অবস্থা। যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ শিল্পাঞ্চল এলাকা কর্মচঞ্চল হয়ে উঠায় বাড়ছে জ্বালানি তেলের ব্যবহার। এতে করোনার আগের অবস্থায় ফিরছে বিশ্বে অপরিশোধিত তেলের বাজার। বর্তমানে প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল বিক্রি হচ্ছে ৬০ ডলারে। এমনটই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বিবিসি।
যদিও এখনো বিশ্বে অনেক দেশেই করোনার প্রভাব আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকায় সেভাবে চাহিদা এখনো বাড়েনি। এতে দেশগুলোতে বিমান চলাচল সীমিত করার পাশাপাশি অনেকেই বন্ধ রেখেছে সব ধরনের ফ্লাইট কার্যক্রম। সীমিত করা হয়েছে পরিবহন চলাচল।
কালো সোনা খ্যাত অপরিশোধিত এ জ্বালানি তেল বর্তমানে বিশ্ববাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬০ ডলারে। যা গত কয়েক মাস করোনার কারণে কমে যাওয়া তেলের দামের চেয়ে প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। ৯-ফেব্রুয়ারি ওমান নিউজ এজেন্সির এক বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, “দুবাই মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে (ডিএমই) আজকের বাজারে তেলে দাম ৬০.৫০ ডলার। গত সোমবারের তুলনায় তেলের দাম বেড়েছে ৭৬ সেন্ট।”
এদিকে আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্কে লন্ডনের ব্রেন্ট তেলের মূল্যও বেড়েছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মূল্য বৃদ্ধির এ হার গত নভেম্বর মাসের চেয়ে প্রায় ৫৯ শতাংশ বেশি। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে (ডব্লিউটিআই) বেঞ্চমার্কের তেল শেষ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে প্রতি ব্যারেল ৫৫ ডলারে পৌঁছেছে। যা চলতি বছরে অপরিশোধিত তেল বিক্রির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মূল্য।
তেলের মূল্য আবারও আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া অনেকটা স্বস্তিদায়ক অবস্থার জানান দিচ্ছে বলে মনে করনে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক অপরিশোধিত তেলের বাজারের ডাটা ফার্ম ভান্ডা ইনসাইটস-এর প্রতিষ্ঠাতা ভান্দানা হারি।
আরো পড়ুনঃ
ওমানি জিপসামের তৃতীয় মার্কেট বাংলাদেশ
নাযুক অবস্থায় ওমানের বাংলাদেশ স্কুল মাস্কাট
হস্তান্তরের আগেই প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ঘরে ফাটল
ওমানে সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় বিক্রি হবে একটি সুপার মার্কেট
মুসল্লিদের জুতা সাজিয়ে রেখেই প্রশান্তি পান এক অমুসলিম!
ওমানে করোনা রোগীর সংখ্যা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আশংকা
তিনি সংবাদ মাধ্যম বিবিসিকে জানান, তেলের চাহিদা পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার পরিসংখ্যান অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পূর্ব চিহৃ। শিগগিরই করোনা ভাইরাসের প্রকপ কমে আসবে এবং সবশেষ এটি বিশ্ব থেকে পিরে যাবে বলেও মনে করেন তিনি।
মূলত বিশ্বে তেলের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষভাবে এশিয়া অঞ্চলে। এ বিষয়ে রয়েল ডাচ সেলের প্রধান নির্বাহী বেন ভ্যান বুরডেন বলেন, এশিয়ার দেশগুলোতে আমরা বেশ আশাবাদী। আমরা তাকিয়ে আছি বিশেষ করে চীনের দিকে। কারণ চীনের সব ধরনের শিল্প কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিমান সেক্টরে নাটকীয়ভাবেই কমেছে তেলের চাহিদা। কারণ যাত্রী কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ। আর ফ্লাইট না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই প্রয়োজন পড়ে না তেলের। কিন্তু তেলের মূল্য বেড়েছে অন্যান্য খাতে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়।
এর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১৪ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেলের মূল্য ছিল ৫১ দশমিক ২২ ডলার। সবশেষ ৫১ দশমিক ৯০ ডলার পর্যন্তও দাম ওঠে। একই সময় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস অপরিশোধিত তেলের দাম ২০ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ছিল ৪৮ দশমিক ০২ ডলারে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post