গত দুই বছর ধরে বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক কানাডার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও টিউশন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসছিল।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এম কে বাশার শিক্ষার্থীদের কানাডায় পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের কানাডায় পাঠানো হয়নি এবং টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি।
এদিকে, কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি বাবদ প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ কোটি টাকা নিয়েছে বিএসবি গ্লোবাল। টাকার পরিমাণ আরও বেশিও হতে পারে।
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতারিত শিক্ষার্থীরা গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে।
তারা রাতে চেয়ারম্যান বাশারের স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাদের গুলশান থানা এলাকায় কর্তব্যরত সেনা কর্মকর্তাদের কাছে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা তাদেরকে টাকা ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে হুমকি দিয়ে আসছিল। অনেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিয়েছেন।
প্রশাসন এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে এবং প্রতারকদের গ্রেফতার করে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম কে বাশারকে পাওয়া যায়নি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post