আমাদের সমাজের আমূল পরিবর্তন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। কারাগারে চিকিৎসক নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে রোববার (২৮ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বিত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এসময় কারাগারে শূন্য থাকা ২০টি পদে আগামী একমাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিকে নির্দেশও দিয়েছেন আদালত।
শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, ‘পুলিশ আক্রান্ত হয়। আবার পুলিশের গুলিতে মানুষ মারা যায়—গণমাধ্যমে এসেছে। এ দেশের মানুষ পুলিশকেও সেভাবে সম্মান করে না। পুলিশকে মেরে ঝুলিয়ে রাখে। চিন্তা করতে পারেন! কতটা নৃশংস! আমাদের সমাজটা আমূল পরিবর্তন দরকার। আমাদের শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের উসকে দেয়। শিক্ষকেরা দলীয় কারণে বিভক্ত। শিক্ষার্থীরা শিখবে কার কাছ থেকে?’
হাইকোর্ট বলেন, এখন যেসব চিকিৎসক বের হচ্ছে, তারা আপডেট না। তারা মান্ধাতার আমলের পড়াশোনা করছে। যার ফলে চিকিৎসকের কাছে গেলেই অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে আদালত বলেন, আপনারা চিকিৎসক নিয়োগ দেন। একজনের দায়িত্ব অন্যের কাঁধে চাপানো বন্ধ করেন।
এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজির আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল বলেন, কারাগারে থাকা চিকিৎসকরা প্রশিক্ষণের সুযোগ পান না, একাডেমিক প্রক্রিয়ায় সমস্যা হয়।
আদালত বলেন, চিকিৎসক দিতে কতদিন লাগবে? একমাস পর আসেন। চিকিৎসক দেন। নইলে ডিজিকে ডাকবো।
আদালত থেকে বের হয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের আইনজীবী সফিকুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পজিটিভ উত্তর দিতে পারেনি। তারা বলেছেন, বিভিন্ন অসুবিধার কারণে ডাক্তার চলে যায়। কারাগারে থাকা চিকিৎসকদের প্রমোশন, উচ্চশিক্ষায় সমস্যা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post