চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ২৪ ঘণ্টা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা সুসংহত করার উদ্যোগ নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। ইতিমধ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখা এবং নির্বিঘ্নে বিমান চলাচলের জন্য আরও ১৯২ জন সদস্য চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার কমোডর সাদিকুর রহমান চৌধুরী। বিমানবাহিনী থেকে ১২০ এবং পুলিশ বাহিনী থেকে ৭২ জন সদস্যকে নিরাপত্তায় সংযুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয় চিঠিতে।
বেবিচক সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপদ, অবাধ ও সুসংহত বিমান চলাচল চলমান রাখা, বিমানবন্দরসংলগ্ন অপারেশনাল কার্যক্রমের স্থাপনার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, যশোর, কক্সবাজার বিমানবন্দরসহ সিলেট, রাজশাহী ও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য এয়ার সাইড, র্যাম্প সাইড এবং অ্যাপ্রোন এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক বিমানবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত করা অত্যন্ত জরুরি।
গত ১৯ জুলাই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যথাক্রমে ৪০০ ও ২০০ জন বিমানবাহিনী সদস্যকে পালাক্রমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। ২০ জুলাই থেকে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিমানবাহিনীর সদস্য বিভিন্ন বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেবিচক সামগ্রিক সাংগঠনিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ৪৬৭ জনকে নিরাপত্তা কাজে বাংলাদেশের সব বিমানবন্দরের জন্য নিয়োগ করা হয়। ইতিমধ্যে নিয়োগকৃত জনবলের মধ্যে ১০৩ জন অন্যত্র চাকরি নিয়ে বেবিচক থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বর্তমানে বেবিচকের অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুসারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্তসহ শাহজালালের নিরাপত্তা কাজে ৪৯৩ জনবল নিয়োজিত রয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বর্তমানে বেবিচকে ১৫৩ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
শাহজালালের টার্মিনাল-১ ও ২-এর নিরাপত্তা কাজে প্রতি শিফটে দায়িত্ব পালনের জন্য সুপারভাইজারসহ ১২৫টি পোস্টে ন্যূনতম ২৫০ জন সদস্য প্রয়োজন এবং চার শিফটে এক হাজারজন (ন্যূনতম) নিরাপত্তা সদস্য প্রয়োজন। এর মধ্যে বেবিচকের নিজস্ব জনবল ৪৯৩ জন। অর্থাৎ এই ৪৯৩ জনবলের পক্ষে এ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করা সম্ভব নয়, তাই বিমানবাহিনী থেকে ২২০ এবং পুলিশ বাহিনী থেকে ৭২ জনের সংযুক্তিসহ সর্বমোট ৭৮৫ জন জনবল দিয়ে বর্তমান নিরাপত্তা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এরপরও বর্তমানে নিরাপত্তা কাজে প্রয়োজনীয় জনবলের তুলনায় ২১৫ জন নিরাপত্তা সদস্যের ঘাটতি রয়েছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post