নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর একটি বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় ১৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন।
এছাড়া ওই দুর্ঘটনায় বিমানটির পাইলট গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিমানটির পাইলটের একটি চোখ গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। তবে তার চিকিৎসা চলছে। বুধবার সকালে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
গতকাল সকালে সূর্য এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার মুহূর্তে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বুধবার সকালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বিধ্বস্ত হয় সূর্য এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। এসময় ওই বিমানটিতে পাইলট সহ মোট ১৯ যাত্রী ছিলেন।
বিধ্বস্তের পর জানা যায় পাইলট ছাড়া বিমানের সকল যাত্রী নিহত হয়েছেন। বিমানের চালককে জীবিত উদ্ধার করা হলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে নেপালের ওই বার্তা সংস্থা। বিমানটি স্থানীয় সময় ১১টার দিকে বিধ্বস্ত হয়।
এর আগে ২০১৯ সালে ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বাংলাদেশের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ওই দুর্ঘটনায় তখন ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর বেঁচে ফিরতে পেরেছিলেন মাত্র ২০ জন যাত্রী। পরে তদন্তে জানা যায় পাইলটের ভুলের কারণেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এছাড়া ২০১৫ সালে তুর্কি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের পিচ্ছিল রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। তবে তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post