অনলাইন জুয়ার বিস্তার এবং প্রতারণামূলক লটারির ফাঁদে একে একে নিঃস্ব হচ্ছেন প্রবাসীরা। এই জোড়া সংকট শুধু প্রবাসীর ক্ষতির কারণ নয় বরং সরকারের জন্য উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, জমি বন্ধক রেখে এই জুয়া ও লটারি কেটে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে তরুণদের অনেকেই কৌতূহলবশত খেলা শুরুর পর নেশায় পড়ে যাচ্ছেন। প্রথমে লাভবান হলেও পরে লাখ লাখ টাকা খোয়াচ্ছেন।
সম্প্রতি নীলফামারীতে প্রতারক চক্রের এই অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক সক্রিয় রয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে। যারা প্রাথমিকভাবে প্রবাসীদের থাই লটারি থেকে বিপুল অর্থ জেতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রলুব্ধ করে। চুরি হওয়া এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে ভুয়া ফেসবুক এবং ইমো আইডি তৈরির মাধ্যমে তাদের কাজ শুরু হয়।
একবার এই অ্যাকাউন্টগুলো সেট আপ হয়ে গেলে, প্রতারকরা তাদের লটারির পোস্টগুলো বিভিন্ন প্রবাসী সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে শেয়ার ও কমেন্ট করা শুরু করে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়াতে ডলারের মাধ্যমে লটারির ভিডিও বিজ্ঞাপন দিয়ে ব্যাপক মানুষের কাছে পৌঁছায় তারা।
প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন অত্যন্ত লোভনীয়ভাবে ডিজাইন করা হয়। এতে মডেল হিসেবে দেখা যায় জনপ্রিয় মুখ, ফলে সাধারণ প্রবাসীরাও এসব বিজ্ঞাপনকে বিশ্বাস করে। কিছু ভিডিওতে প্রবাসীদের বিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে ধর্মগ্রন্থ হাতে নিয়ে ভিডিও করতেও দেখা গেছে প্রতারকদের। একবার যোগাযোগ হয়ে গেলে লটারির ফি বা ট্যাক্সের কথা বলে বড় অঙ্কের অর্থ পাঠাতে বাধ্য করা হয়। চোখের পলকেই সর্বস্ব হারান প্রতারকেরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post