বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ওমান। ভিসার অপব্যবহার রোধে দেশটি গত বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ ঘোষণা করে।
যদিও দক্ষ ক্যাটাগরিগুলোতে সম্প্রতি সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে তারা। এছাড়া শ্রমিক ভিসা খোলারও চেষ্টা চলছে। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের জরিমানা মওকুফের বিষয়েও মৌখিকভাবে সম্মতি জানিয়েছে দেশটি।
তবে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা যেন পুনরায় না আসে সে বিষয়ে সরকারের তৎপরতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন কর্মসংস্থান যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে বৈধভাবে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সচেষ্ট থাকতে হবে। তবেই ওমানের শ্রমবাজার ধরে রাখা সম্ভব হতে পারে।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, আগে অল্পসংখ্যক প্রবাসী ওমানে গেলেও ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশীদের জন্য বড় গন্তব্য হয়ে ওঠে দেশটি।
গত বছর ভিসা স্থগিত করার আগে ১০ মাসে অন্তত ১ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশী ওমানে যান। শুধু কর্মক্ষেত্রই নয়, দেশটি প্রতি বছর গড়ে ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের বড় উৎস।
গত বছর যখন দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়, তখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, যে সংকট এখনো চলমান। ওই সময় ভিসা স্থগিত করার ফলে অভিবাসী ও রেমিট্যান্স খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
তবে আবার পুরোপুরি শ্রমবাজার খুলে দিলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি নতুন গতি ফিরে পাবে। তাই ওমানের শ্রমবাজার নিয়ে সরকারের বাড়তি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post