চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ জনে।
এর মধ্যে পুরুষ ৫১ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৫০ জন, মদিনায় ৫ জন, মিনায় ৭ জন ও জেদ্দায় ২ জন মারা গেছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ৯৭৪ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১৮৪টি ফ্লাইটে হাজিরা দেশে ফিরেছেন।
এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৭, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬৪ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪৭ জন হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সবার নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ১১ জুলাই মোহাম্মদ মিদ (৭৪) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post