ইতালির সংবিধান অনুযায়ী দুটি পদ্ধতিতে নাগরিকত্ব গ্রহণ করা যায়। প্রথমটি নাগরিক সূত্রে। আর দ্বিতীয়টি, দেশটিতে বৈধভাবে স্থায়ী রেসিডেন্ট হিসেবে ১০ বছর বসবাসের পর।
এই ক্যাটাগরিতে আরও রয়েছে বিবাহ সূত্রে নাগরিকত্ব কিংবা দত্তক হয়ে নাগরিকত্ব লাভ। তবে সামান্য ভুলে আবার বাতিল হতে পারে ইতালির নাগরিকত্ব। অর্থনৈতিক সক্ষমতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আর ইতালির সরকার ও ভূখণ্ডের প্রতি আস্থাশীলতার মাধ্যমেও দেশটির নাগরিকত্ব অর্জন করা যায়।
তবে দেশটির সরকার এবং বিচার বিভাগ চাইলে যেকোনো সময় বিদেশিদের কাছ থেকে এই নাগরিকত্ব ফিরিয়ে নিতে পারে। সংশ্লিষ্টরা তাই বলছেন, এরইমধ্যে যারা ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যা দেশটির সার্বভৌমত্ব ও সংবিধান পরিপন্থি।
ইতালি প্রবাসী একজন বাংলাদেশি জানান, ইতালিতে নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ বিষয় না। তাই সবার উচিত এ নাগরিকত্ব লাভ করলে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী কাজ করা। আর কোনো ধরনের অবৈধ কাজ থেকে বিরত থাকা।
১৯৯৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখের বেশি বিদেশি ইতালির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ১৫ লাখের বেশি শুধু দীর্ঘ সময় বসবাসের মাধ্যমে। ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিও নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। তবে এদের মধ্যে অনেকেই পাড়ি জমিয়েছেন যুক্তরাজ্যে।
এদিকে, নাগরিকত্ব আইন কঠোর করার পক্ষে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি। তাই সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতালির পাসপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বের ১৯৪টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করা যায়। শক্তিশালী পাসপোর্টের তালিকায়ও প্রথম দিকে রয়েছে ইতালি।
তাই যারা দেশটির নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন কিংবা গ্রহণের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন, তাদের উচিত সংবিধান পরিপন্থি, সার্বভৌমত্ব নষ্ট কিংবা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা। অন্যথায় দেশটির নাগরিকত্ব বাতিল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বেন বিদেশি বংশোদ্ভূত ইতালিয়রা।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post