মধ্যপ্রাচ্যর গাজা শহরে বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের মধ্য গাজা উপত্যকায় যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। বুধবার ফিলিস্তিনি উপত্যকার প্রধান শহরটিতে তীব্র সামরিক অভিযানের মধ্যে এই নির্দেশনার হাজার হাজার লিফলেট বিলি করেছে দখলদার বাহিনী।
এসব লিফলেটে গাজাকে ‘বিপজ্জনক যুদ্ধ অঞ্চল’ হিসাবে বর্ণনা করে ‘গাজা শহরের প্রত্যেককে’ নির্দিষ্ট নিরাপদ রুটের মাধ্যমে এলাকা ছেড়ে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী দুটি রাস্তাও উল্লেখ করেছে যা দেইর আল-বালাহ এবং আল-জাওয়াইদাতে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে গেছে। মূলত গাজা শহরে এখনও আড়াই লাখ ফিলিস্তিনি অবস্থান করছেন।
৪৭ বছর বয়সী বাসিন্দা ইব্রাহিম আল-বারবারি বিবিসিকে বলেছেন, আমি গাজা (শহর) ছাড়ব না। অন্যরা যে বোকামি করেছে তা আমি করব না। ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে পার্থক্য করে না। মৃত্যুই যদি আমার ভাগ্য হয় এবং আমার সন্তানদের ভাগ্যেও সেটাই থাকে, তাহলে আমরা আমাদের বাড়িতে সম্মান এবং মর্যাদার সাথে মরব।
এদিকে ইসরায়েলের এমন নির্দেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দ্বিতীয়বার পুরো গাজাকে খালি করার এমন নির্দেশ এলো।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েল বাহিনী গাজার কিছু এলাকায় পুনরায় অভিযান চালানোর জন্য প্রবেশ করেছে। তারা বিশ্বাস করছে এসব এলাকায় হামাস এবং ফিলিস্তিনিদের ইসলামিক জিহাদ যোদ্ধারা আবারো এসব অঞ্চলে সংগঠিত হয়েছে।
হামাস বলছে, ইসরায়েল বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডের ফলে যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে পড়বে এবং জিম্মিদের মুক্তিদানের বিষয়টিও সহজ হবে না।
হামাসের শীর্ষ নেতা হোসান বাদরান বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, ইসরায়েল বোমা হামলা, বাস্তুচ্যুত এবং গণহত্যা চালিয়ে হামাসকে আলোচনার টেবিলে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post