ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি মো. রাজুর (২৮) লাশ ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জগদল সীমান্তের শূন্যরেখায় বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করে ভারতের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপুকুর থানার পুলিশ।
নিহত রাজু বালিয়াডাঙ্গীর বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের গড়িয়ালী গ্রামের হবিবর আলীর ছেলে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ওই ইউনিয়নের নাগরভিটা সীমান্তের ৩৭৬ নম্বর মেইন পিলারের ৫ নম্বর সাবপিলার এলাকায় বিএসএফের গুলিতে নিহত হন রাজু। ঘটনার পর বিজিবির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং দুই দফায় বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে রাজুসহ কয়েকজন নাগরভিটা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। এ সময় ভারতের ১৫২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের তিনগাঁও বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়। বিএসএফ সদস্যরা রাজুর লাশ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যান।
এ সম্পর্কে বিজিবির ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহম্মদ মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে ওই তরুণের নিহত হওয়ার বিষয়ে শুক্রবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরে অধিনায়ক (সিও) পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ ঘটনার জবাব চেয়ে বিএসএফকে লিখিত চিঠিও দেওয়া হয়েছে।’
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির জানান, ভারতে ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজুর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। পুলিশ লাশ বুঝে পাওয়ার পরপরই নিহত তরুণের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। রাতেই স্বজনেরা পারিবারিক কবরস্থানে রাজুর লাশ দাফন করেছেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post