আকাশভ্রমণকে সবচেয়ে নিরাপদ যাত্রা হিসেবে মনে করা হয়। এ পথে যেমন সময় সাশ্রয় হয় তেমনি যাতায়াতের অপর দুই মাধ্যম সড়ক ও নৌপথের চেয়ে এতে দুর্ঘটনার হারও কম।
তবে অপর দুই পথে দুর্ঘটনায় পড়লে হয়ত আপনার বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। বিমানযাত্রায় এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া মানে নিশ্চিত মৃত্যু।
কিন্তু ভাগ্যের খাতায় সবার পরিণতি কখনো এক হয় না। তেমনই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরার গল্প শোনা যায় মাঝে মাঝে, যদিও তা একেবারেই বিরল।
এখন থেকে দুই বছর আগে এক বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিন বান্ধবী লে’আনকা রিগবি, নিয়া বেথেল-সিয়ার্স ও অ্যালিসিয়া রোল। সপ্তাহের শেষে তারা বাহামাসের রাজধানী নাসাউ থেকে ২০০ মাইল দূরে লং আইল্যান্ডে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন।
এ সময় তারা যে প্লেনের টিকিট বুক করেছিলেন তা বাতিল হয়ে যায়, পরবর্তীতে তারা একটি চার্টার্ড প্লেনে করে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিমানটি আকারে ছোট হওয়ায় ভ্রমণের আগে পাইলটের সম্বন্ধে যাচাই করে নেন লে’আনকা রিগবি, তাতে ইতিবাচক তথ্য পাওয়ায় সেই বিমানেই ভ্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। এখানেই ঘটে বিপত্তি।
ভ্রমণের দিন আবহাওয়া খুব পরিষ্কার ছিল বলে জানান অ্যালিসিয়া। নির্ধারিত সময়ে বিমানবন্দরে পৌঁছে পেয়ে যান আরও তিন সহযাত্রীকে। বিমানটি উড্ডয়ন করার এক থেকে দুই মিনিট পর সেখানে একটি শব্দ শোনা যায়।
তারা তখন মাটি থেকে ২০০ ফুট উপরে উড়ছেন। তারপর প্লেনের বাঁ দিকের অংশে একটি লাল ঝলকানো আলো দেখা যায়। অ্যালিসিয়া ভেবেছিলেন এটা কিছুই না।
সবাইকে আতঙ্কে ফেলে কিছুক্ষণ পরই বিমানটি ঘর ঘর শব্দ করতে শুরু করে। মনে হচ্ছিল সবকিছু যেন ধীরে ধীরে খসে পড়বে।
সে সময় বিমানটি দুলতে শুরু করলেও সেটিকে স্থির করতে সক্ষম হন পাইলট। কিন্তু বেশিক্ষণ নয়। তারপর বিমানটি হেলে পড়তে শুরু করে। চোখের পলক ফেলতেই অ্যালিসিয়া নিচে গাছ দেখতে পান।
সে সময় কিছুই শুনতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তার শুধু মনে হচ্ছিল তিনি একটি বাবলে আটকা পড়েছিলেন। কিছুক্ষণ পর নিজেকে আবিষ্কার করেন মাটিতে। যতটা খারাপ অবতরণ ভাবা হয়েছিল ততটা হয়নি। নিজের হাত ও পা নাড়াতে পারছিলেন অ্যালিসিয়া।
ভাগ্যবান এ যাত্রী জানান, সেদিন বিমানটি একটি কর্দমাক্ত ঝোঁপের মধ্যে পড়েছিল। ফলে তারা আঘাত পেলেও বেঁচে যান। এর মধ্যে বেশি ভাগ্যবান ছিলেন অ্যালিসিয়া। দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও তার শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাত লাগেনি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post