ওমানে মোহাম্মদ সোহাগ (৩১) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। সোহাগ লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার পূর্ব চরসীতা গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে।
বুধবার সন্ধ্যায় ওমানে বাংলাদেশ দুতাবাস থেকে রামগতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দেওয়া টেলিফোন বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। পরে সোহাগের মৃত্যু সংবাদটি পরিবারকে জানানো হয়। তবে কখন মারা যান বা মৃত্যুর কারণ জানেন না নিহতের পরিবারটি ।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ভাই মো. বেলাল বলেন, তারা ৪ ভাই ২ বোনের মধ্যে সোহাগ সবার ছোট। ছয় বছর আগে জীবিকার তাগিদে বাংলাদেশ থেকে প্রবাসী হিসেবে ওমানে পাড়ি দিয়েছিল সোহাগ। ইতোমধ্যে তার বাবা মারা যান। সোহাগ ওমানের বিভিন্ন এলাকায় এতোদিন কাজ করে আসছিল।
গত দুই মাস তার সাথে পরিবারের কোন যোগাযোগ ছিল না। বুধবার সন্ধ্যায় আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে তার মৃত্যুর সংবাদটি পাই। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি।
বেলাল আরও বলেন, ওমানে তাদের পরিচিত লোকজন আছে। তাদের মাধ্যমে সোহাগের পরিবারের পক্ষ থেকে মরদেহ সনাক্ত করা হবে। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার মরদেহ বাংলাদেশে আনার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে।
এদিকে এ ঘটনায় তার গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মারা যাওয়ার ঘটনা মানতে পারছে না পরিবার। নিহতের মা বোন, আত্মীয়-স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে পরিবেশ। সকাল থেকে সোহাগদের বাড়িতে ভীড় করছে এলাকার মানুষ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মাহফুজুর রহমান জানান, পরিবারের হাল ধরতে সোহাগ প্রবাস জীবন বেছে নেয়। কিন্তু এভাবে এতো অল্প বয়সে মারা যাবে আমরা ভাবতে পারিনি। এখন এলাকাবাসীর পক্ষে থেকে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি যাতে তার মৃতদেহ যতদ্রুত সম্ভব দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আমজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওমানে নিহত সোহাগের পরিবারকে তার মৃত্যুর সংবাদটি দেওয়া হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে পারিনি। তার মরদেহ বাড়িতে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য নেওয়া হচ্ছে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post