কুয়েতে অবস্থানকারী প্রবাসী কর্মীদের কাজ ও আয়ের সুযোগ বাড়ানোর জন্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটির সরকার। দেশটিতে খাদেম ভিসায় যাওয়া কর্মীদের অন্য মালিকের অধীনে কাজ করার সুযোগ করে দিতে ভিসা প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
কুয়েতের আইনে এক মালিকের আকামা নিয়ে সেখানে গিয়ে অন্য মালিকের অধীনে কাজ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে সেখানে অবস্থানকারী বিভিন্ন দেশের কর্মীরা আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়েছেন এবং নানা পেশায় যুক্ত হওয়ার মতো নিজেদের গড়ে তুলেছেন।
এ অবস্থায় দেশটির সরকার সেখানকার প্রবাসীদের জন্য শর্ত শিথিলের কথা ভাবছে। খুব শিগগিরই আকামা বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে কুয়েত। নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে আকামাধারীরা অন্য কাজে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।
দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে সম্প্রতি এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। সে সবের তথ্যানুযায়ী খুব শিগগিরই খাদেম ভিসা ২০ নম্বর থেকে বেসরকারি ১৮ নম্বর শ্যন ভিসায় পরিবর্তনের সুযোগ দিতে দেশটির সরকার কাজ করছে। তবে কবে নাগাদ এই বিষয়টির বাস্তবায় হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
জানা যায়, কুয়েতের উপ প্রধানমন্ত্রী মেখ ফাহাদ ইউসুফ সৌদ আল সাবাহের নেতৃত্বে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে গৃহকর্মী ভিসা থেকে বেসরকারি খাতে ভিসা স্থানান্তরের নিষেধাজ্ঞা অস্থায়ীভাবে তুলে নেয়ার জন্য একটি খসড়া আইন প্রস্তুতে জনশক্তি কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটিতে অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, অনেকে ভালো ভালো কাজ জানেন, ভালো মানের টেকনিশিয়ান হয়েও অনেকে অন্য কোনো কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন, তাদের জন্য এখন সুযোগ বাড়বে।
শ্যন ভিসা হলে প্রবাসীরা একাধারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ পাবেন। এতে আয়ের পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহও বাড়বে।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post