বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১১টি আন্তর্জাতিক রুট লাভজনক। আরো ৪টি রুট লাভজনকে রূপান্তর করা হচ্ছে। এছাড়া বাকি ৬টি রুটে অপারেশনাল খাত অলাভজনক।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিমানের দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লাভজনক রুটগুলো হচ্ছে- ঢাকা থেকে লন্ডন, টরেন্টো, দুবাই, জেদ্দা, মদিনা, রিয়াদ, দাম্মাম, ব্যাংকক, কাঠমান্ডু, কুয়ালালামপুর ও সিঙ্গাপুর।
ভাড়ার সঙ্গে অ্যাকসেস ব্যাগেজের ওজন সমন্বয় করে লোড পেনাল্টি হ্রাস করে ৪টি রুট লাভজনক রুটে পরিণত হচ্ছে। সেগুলো হলো- আবুধাবি, মাস্কাট, দোহা ও শারজাহ। আর অলাভজনক রুট হলো- ম্যানচেস্টার, কুয়েত, দিল্লি, কলকাতা, গুয়াংজু ও নারিতা।
বিমানকে লাভজনক করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। পদক্ষেপগুলো হলো- অন-টাইম পারফরম্যান্সের ওপর গুরুত্ব আরোপ, যাত্রীপ্রতি রাজস্ব বৃদ্ধি ও ব্যয় সংকোচনের ওপর গুরুত্ব আরোপ, বোয়িং থেকে নেয়া নতুন উড়োজাহাজের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা, যাত্রীসেবার মানে দৃশ্যমান উন্নয়ন করা।
এছাড়া যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির চেষ্টা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। ভাড়ার সঙ্গে অ্যাকসেস ব্যাগেজের ওয়েট সমন্বয়পূর্বক লোড পেনাল্টি পরিহারের প্রক্রিয়া চলছে। দোহা, আবুধাবি, শারজাহ ও মাস্কাট রুট লাভজনক করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে মালে, কুনমিং, সিডনি, জাকার্তা, সিউল, উহান এবং বাহরাইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
নিউইয়র্কে পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ রুটে নতুন ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনায় উল্লেখযোগ্য গন্তব্য হলো- চট্টগ্রাম-যশোর, চট্টগ্রাম-সিলেট, ঢাকা-যশোর-কক্সবাজার এবং ঢাকা-বরিশাল-কক্সবাজার।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অরগানোগ্রাম অনুযায়ী জনবল কাঠামো, অনুমোদিত জনবল, শূন্য পদের বিবরণ ও নিয়োগ কার্যক্রম, প্রেষণে নিয়োজিত জনবল ও আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগের বিধিবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন সেবা, টিকিটের মূল্য ম্যানিপুলেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করা, ফ্লাইট শিডিউলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং মানোন্নয়নে কার্যক্রম বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যেসব এয়ারক্রাফটের ত্রুটি আছে, তা শনাক্ত করে ত্রুটি অপসারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, আনোয়ার হোসেন খান, আশেক উল্লাহ রফিক, শেখ তন্ময়, মাহমুদ হাসান ও মো. খসরু চৌধুরী অংশ নেন।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post