জান্তার শাসনামলে মিয়ানমারে দারিদ্র্য ও মুদ্রাস্ফীতি ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কর্মীদের বেতন বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণেই ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে জেলে ভরা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইর্য়ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মিয়ানমারে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ব্যবসায়ীরা কর্মচারীদের বেতন বাড়াচ্ছেন। বেতন বাড়ানোর কারণে সম্প্রতি দেশটিতে অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে জান্তা সরকার।
মিয়ানমারে গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন হলেন পায়ে ফিও জ। কর্মীদের বেতন বাড়ানোর জন্য তার তিনটি মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে জন অসন্তোষ উসকে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
তার একটি দোকানের বাইরে একটি সাইনবোর্ডে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘সমাজের শান্তি-শৃঙ্ক্ষলা লঙ্ঘনের জন্য দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
এ প্রসঙ্গে দেশটির একজন আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, মিয়ানমারে মজুরি বৃদ্ধিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে মজুরি বৃদ্ধিকে জান্তা সরকার তাদের অবমাননা হিসেবে দেখছে। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী প্রত্যেকের তিন বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
গ্রেফতার ব্যবসায়ী পায়ে ফিও জ-এর এক কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেতন বাড়ানোয় আমরা মালিকদের কাছে কৃতজ্ঞ ছিলাম। তবে এখন দোকানই বন্ধ হয়ে গেছে। আমি এখন বেতনই পাচ্ছি না। এর মধ্যে জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় আমাদের মতো মানুষদের খুব ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতিতে অর্থনৈতিক পতন নিয়ে চারপাশে যেসব অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে তা নিয়ন্ত্রণে মরিয়া জান্তা সরকার।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post