নিউ ইয়র্কে ডেলটা এয়ারলাইনসের একটি বিমানে ‘নষ্ট’ খাবার দেওয়ায় জরুরি অবতরণের জন্য বাধ্য করেছিলেন যাত্রীরা। এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, ডেট্রয়িট মেট্রোপলিটন ওয়েন কাউন্টি বিমানবন্দর থেকে মঙ্গলবার রাত ১১টার আগে ডেলটা এয়ারলাইনসের এ৩৩০ ফ্লাইটটি ছেড়ে যায়। ফ্লাইটটিতে ২৭৭ জন যাত্রী ছিল।
পরবর্তীতে মূল কেবিনের খাবারের একটি অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ফ্লাইটটিকে জন এফ কেনেডি (জেএফকে) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
ফ্লাইটরাডার২৪ এর তথ্য মতে, খাবার নষ্টের বিষয়টি সামনে আসার সময় ডেলটার ওই ফ্লাইটটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের দক্ষিণে ফরাসি দ্বীপপুঞ্জ সেইন্ট পিয়েরে ও মিকেলনের ওপর ছিল। পরবর্তীতে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ক্রু ফ্লাইটটি অবতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিকে এয়ারলাইনসটি কিভাবে নষ্ট খাবার সনাক্ত করা হয়েছিল তা প্রকাশ্যে আনেনি।
এমনকি ২৭৭ জন যাত্রীর মধ্যে কতজন খাবার খেয়েছিল বা কোনো যাত্রী নষ্ট খাবার খাওয়ায় কোনো সমস্যা হয়েছে কি না, এমন কোনো তথ্য দেয়নি।
পরে ফ্লাইটটি ৩ জুলাই ভোর ৪টায় নিরাপদে জেএফকে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় ১২ জন যাত্রীকে পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তারা চিকিৎসা বা হাসপাতালে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
নিউ ইয়র্কের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট ইউএসএ টুডেকে এ তথ্য জানায়। এদিকে ডেলটা এয়ারলাইনস এ ঘটনায় তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডেলটা এয়ারলাইনস এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছে, ‘ডেলটা এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি ডেট্রয়েট থেকে আমস্টারডাম যাচ্ছিল। কিন্তু ফ্লাইটের মূল কেবিনের খাবারের একটি অংশ নষ্ট হওয়ায় বুধবার ভোররাতে নিউ ইয়র্কের জেএফকে বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে।’
‘মেডিক্যাল সদস্যরা ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রুদের কোনো সমস্যা হয়েছে কি না তা জানতে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।
ডেলটার খাবার বিশ্লেষকরা সরবরাহকারীদের নষ্ট খাবারগুলো আলাদা করে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে। ডেলটা এমন সেবার জন্য পরিচিত নয়। আমরা আমাদের যাত্রীদের কাছে অসুবিধা ও ভ্রমণে বিলম্বের জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post