এস এম আসিফ শামস পাবনার বেড়া পৌরসভার মেয়র এবং জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর ছেলে। আসিফের বিরুদ্ধে প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
পাবনা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ২০২২ সালের ২৩ মে পাবনার বেড়া থানায় পৌঁছে। দীর্ঘদিনেও পুলিশ সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করেনি। বেড়া থানায় সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ফাইলবন্দি হয়ে আছে। তবে বিষয়টি বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অবগত রয়েছেন।
এই গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়েই গত ৩০ জুন সপরিবারে আসিফ থাইল্যান্ড ভ্রমণে চলে গেছেন। এ নিয়ে বেড়া পৌর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, মেয়র হয়তো আত্মগোপনে চলে গেছেন। আর হয়তো ফিরবেন না। আবার কেউ বলছেন, এক দেড়মাস মেয়র সাহেব সপরিবারে থাইল্যান্ডে থাকবেন। পরে সব কিছু ‘ম্যানেজ’ করে আবার দেশে ফিরবেন।
১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২০২২ সালের ২৩ মে ওই পরোয়ানা জারি করা হয়। এই পরোয়ানা তামিল করার জন্য পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারিস্তা করিম নথিতে স্বাক্ষর করেন। এতে বলা হয় ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অফিসার ইনচার্জ বেড়া থানাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
জানা গেছে, ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিশন টেল লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম আসিফ শামস। রাজধানীর গুলশানের খাজা টাওয়ারে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানির চেয়ারম্যান আসিফ শামসের নামে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে দুদকে একটি অভিযোগ জমা পড়ে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ভিওআইপির লাইসেন্স ফি বাবদ তিনি বিটিআরসিকে ১৫ কোটি টাকা অগ্রিম এবং প্রতিবছরে ৭ কোটি টাকা হিসাবে তিন বছরে ২১ কোটি টাকা এবং সর্বমোট ৩৬ কোটি টাকা দিয়েছেন।
তবে ২০১৪ সালে সার্বিকভাবে ভিশন টেলের কাছে ১৪৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওনা থেকে যায়। আট বছর পরে ২০২২ সালে সুদ-আসলে তা হয় ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭১ টাকা।
জানতে চাইলে বেড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই গ্রেফতারি পরোয়ানা অনেক আগেই থানায় এসেছে। উনি বেড়া পৌরসভার মেয়র। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি অবগত করেছি।
তিনি (মেয়র) পুলিশকে জানিয়েছেন যে আদালতে টাকা জমা দিয়ে জামিন নিবেন। তবে দুই-তিন দিন হল জানতে পেরেছি তিনি বিদেশ গেছেন।’
এ ব্যাপারে জানতে বেড়া পৌরসভার মেয়র এস এম আসিফ শামসের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রবাস টাইমে লিখুন আপনিও। প্রবাসে বাংলাদেশি কমিউনিটির নানা আয়োজন, ঘটনা-দুর্ঘটনা, প্রবাসীদের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা-সম্ভাবনা, সাফল্য, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের খবর, ছবি ও ভিডিও আমাদের পাঠাতে পারেন [email protected] মেইলে।
Discussion about this post